গান্ধীনগর: ডিসেম্বরেই ভোট মোদী-শাহের রাজ্যে। ঘোষণা হয়ে গিয়েছে নির্বাচনের দিনক্ষণ। দুই দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে গুজরাটে (Gujarat Assembly Election)। তার জন্য জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। নিজেদের ২৫ বছরের জমি ধরে রাখতে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলেছে বিজেপি (BJP)। পিছিয়ে নেই আপ (AAP), কংগ্রেসরা (Congress)। এই আবহে নির্বাচন থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন একদল বাসিন্দা। নির্বাচনকে ঘিরে তাঁরা নিজেদের দাবি তুলে ধরেছে সরকারের কাছে। সেই দাবি না মানা হলে তাঁরা এই বিধানসভা নির্বাচন বয়কট করবেন বলে জানিয়েছেন।
গুজরাটের নবসারিতে আঞ্চেলি ও পার্শ্ববর্তী আরও ১৭ টি গ্রামের বাসিন্দারা এই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন বয়কটের ব্যানার ঝুলিয়েছেন। এবং নির্বাচনী প্রচারের শাসক দল বিজেপি সহ অন্যান্য দলকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের দাবি ছিল, আঞ্চেলি রেলওয়ে স্টেশনে লোকাল ট্রেন থামুক। তবে সেই দাবি বারবার উত্থাপন করা সত্ত্বেও এখনও তা মান্যতা পায়নি। তাই গ্রামবাসীদের তরফে এই চরম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আঞ্চেলি রেলওয়ে স্টেশন ও গ্রামের মেইনচক এলাকার সামনে ব্যানারে লেখা, ‘ট্রেন নাহি তো ভোট নাহি (ট্রেন না থাকলে, ভোটও হবে না)। বিজেপি বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দল নির্বাচনী প্রচারে আসতে পারবেন না। আমাদের চাহিদা পূরণ হয়নি। তাই আমরা এই নির্বাচন বয়কট করছি।’ প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে আঞ্চেলি ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দারা নবসারির সাংসদ ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সিআর পাটিল, বিজেপি বিধায়ক পীযূষ দেসাই এবং রেলওয়ে ও বস্ত্র মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দর্শনাবেন জরদোশের কাছে নিজেদের দাবি নিয়ে হাজির হয়েছেন। তাঁদের দাবি, আঞ্চেলি রেলওয়ে স্টেশনে বিভিন্ন প্যাসেঞ্জার ট্রেন থামানো হোক। কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকেই এই পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
গত ১৮ অক্টোবর এই একই দাবিতে রেলমন্ত্রী অশ্বিণী বৈষ্ণবের কাছে একই আবেদন করেছেন গ্রাম বাসিন্দারা। নবসারিতে পশ্চিম রেলওয়ের আমালসাদ ও ভেদচ্ছা রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে পড়ে আঞ্চেলি। গ্রামবাসীরা তাঁদের হলফনামায় মুম্বই থেকে সুরাটের মধ্যে চলমান ভিরার ভারুচ এক্সপ্রেস ও সুরাট ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস থামার দাবি জানিয়েছিলেন। এই ১৮ টি গ্রামের বেশিরভাগ বাসিন্দারা প্রতিদিন এই ট্রেনে করে ভালসাদ ও সুরাটে যেতেন চাকরি, পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজের জন্য। তবে কোভিডের সময় এই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মুশকিলে পড়েছেন সেখানকার গ্রামবাসীরা।