নয়া দিল্লি: স্থিতিশীল রয়েছে দেশের করোনা(Corona)সংক্রমণ। গত কয়েকদিন ধরেই ২০ হাজারের নিচেই রয়েছে সংক্রমণের গ্রাফ। তবে দেশজুড়ে যেহেতু চলছে উৎসবের মরশুম, সেই কারণে সংক্রমণে দাড়ি টানতে বারবার সতর্ক হতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে (India) নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ১৩২ জন। গতকাল ১৮ হাজার ১৬৬ জন। এদিকে, আবার করোনাকে (Corona) হারিয়ে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা সামান্য কমেছে। ২১ হাজার ৫৬৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এদিকে, ওঠা-নামা করছিল দেশের মৃত্যুর (Corona Death) গ্রাফ। একদিনে মৃতের সংখ্যা স্থিতিশীল নয়। গত একমাস যাবত সংখ্যাটা কখনও বড়ে ৩০০-র গণ্ডি ছুঁয়েছে। কখনও বা কমে ২০০ ঘোরাফেরা করেছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু আরও কমে ১৯৩ জন।
উৎসবের মরশুমে কেরলে (Kerala) বেড়ে গিয়েছিল আক্রান্তের সংখ্যা। বিগত কয়েকদিন সংখ্যাটা কখনও বেড়েছে কখনও বা কমেছে। তবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে যথেষ্ঠ বেগ পেতে হচ্ছে কেরলে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৬৯১ জন । এর আগে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গিয়েছিল। কিন্তু পুনরায় সংখ্যাটা বেড়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত সামান্য বেড়ে গিয়েছে। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৯৪ জন। অন্যদিকে, তামিলনাড়ুতেও বেড়ে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্তে হয়েছেন ১ হাজার ৩২৯ জন। চতুর্থস্থানে থাকা কর্নাটকে আক্রান্তের সংখ্যা কমে দাঁড়াল ৪০৬ জন।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে (WestBengal) ক্রমাগত বাড়ছে করোনা (Corona)আক্রান্তের সংখ্যা। সামনেই পুজো। আর তার কারণে উৎসবমুখী মানুষ। একাধিকবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন মাস্ক পরতে এবং যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয় চলতে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬০ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৯০৫ জন।
এদিকে, উত্তর প্রদেশের মতো বড় রাজ্যে কিন্তু সংক্রমণের রিপোর্ট অনেকটাই কম। গোটা রাজ্যে দৈনিক মোট আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ১৬ জন। বিগত দু’সপ্তাহ ধরে এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ এর নীচেই রয়েছে। তবে মোট মৃতের সংখ্যা ২২ হাজারের আশে পাশেই ঘোরাঘুরি করছে। অন্যদিকে, রাজধানী দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ জন। অন্যদিকে, গত কয়েকদিন ধরে ভাবাচ্ছিল মিজ়োরামের সংক্রমণের গ্রাফ। এখনও সেই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ভাবাচ্ছে দেশকে। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা একধাক্কায় কমে ৩০৭ জন।
টিকাকরণের (Corona Vaccine) হার বাড়িয়ে করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রেণে রাখার চেষ্টা চলছে দেশজুড়ে। তবে কলকাতায়(Kolkata) পুজোর চারদিন বন্ধ থাকবে টিকাকরণ।