মইনপুরী: উত্তর প্রদেশের মইনপুরী জেলায় ১৯ বছর বয়সী এক কলেজ পড়ুয়া তরুণীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বুধবার বিএসসি পড়ুয়া ওই তরুণীকে তাঁর বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। নিহত নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের দাবি, ২০ বছর বয়সী এক তরুণ তাঁকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। মইনপুরী জেলায় নাগলা শীষম গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে, এমনটাই জানিয়েছেন, মইনপুরী জেলার পুলিশ সুপার কমলেশ দীক্ষিত।
বুধবার ঝুলন্ত অবস্থায় ওই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার সময় ওই তরুণীর বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না বলেই জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত তরুণীর বোন কোচিং ক্লাস থেকে ফিরে এসে জানালা দিয়ে তাঁর দিদিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চমকে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে সে দরজায় ধাক্কা দিতে শুরু করে। সেই সময় অভিযুক্ত তরুণ দরজা খুলে ঘরের বাইরে বেরিয়ে এসে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।
পরিবারের অভিযোগ, ওই তরুণই তাদের মেয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। পুলিশ নিহত তরুণীর দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।
মাঝেমধ্যেই উত্তর প্রদেশে একের পর এক নির্মম ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছিল। সম্প্রতি ধর্ষণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে আইন সংশোধন করে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। উত্তর প্রদেশ বিধানসভায় কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিওর বিল ২০২২ পাস হয়েছে। উত্তর প্রদেশের পরিষদীয় মন্ত্রী সুরেশ কুমার খান্না জানিয়েছিলেন, ধর্ষণ ও পকসো আইনে অভিযুক্তরা যাতে কোনওভাবেই আগাম জামিন না পান সেই কারণেই এই বিল পাস করা হয়েছিল।