নয়া দিল্লি: বিক্ষোভ-সংঘর্ষে উত্তাল কঙ্গো। রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনে থাকা কর্মসূচির বিরুদ্ধেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সে দেশের সাধারণ মানুষ। ওই বিক্ষোভেই জনতার রোষে প্রাণ হারালেন দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ান। তারা রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা মিশনের অংশ ছিলেন। মঙ্গলবারই বিএসএফ কর্তৃপক্ষের তরফে একথা জানানো হয়। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই কঙ্গোয় রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা মিশন ঘিরে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে। সম্প্রতিই কঙ্গোর পূর্বদিকে অবস্থিত গোমা শহরেও রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিরুদ্ধে চরম বিক্ষোভ দেখানো হয়। ওই বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে গেলেই সংঘর্ষ বাধে। কমপক্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয় এবং আহত হন ৫০ জন। মৃতদের মধ্যে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দুই জওয়ানও রয়েছেন। উল্লেখ্য, গত মে মাসেই বিএসএফের ৭০ থেকে ৭৪ জওয়ানকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা মিশনের অধীনে কঙ্গোয় পাঠানো হয়েছে।
বিএসএফের বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ২৬ জুলাই রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা মিশনের অধীনে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর বুটেম্বোয় নিয়োগ করা দুই জওয়ান সশস্ত্র বিক্ষোভের মাঝে পড়েন এনং গুরুতর আহত হয়ে তাদের মৃত্যু হয়।
বিএসএফের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় বাসিন্দারাই খবর দেন যে কিছু বিক্ষোভকাপী গোমায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। পরে লুটপাট ও রাষ্ট্রসঙ্ঘের সম্পত্তিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ারও খবর আসে। বেনি ও বুটেম্বোয় থাকা বিএসএফ জওয়ানদের সতর্ক করা হয়। কঙ্গো পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পৌঁছলেও প্রায় ৫০০-রও বেশি বিক্ষোভকারী থাকায়, তাদের রোখা অসম্ভব হয়ে যায়। বিএসএফ ও অন্যান্য দেশের জওয়ানরা কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের আটকানোর চেষ্টা করলেও, তারা তিনটি পাঁচিল টপকে মূল ক্যাম্পে ঢুকে পড়ে এবং জওয়ানদের উপরে হামলা করে। অধিকাংশ বিক্ষোভকারীই সশস্ত্র ছিল বলে জানা গিয়েছে।
দুই জওয়ানের মৃত্যুর খবর পেয়ে শোক প্রকাশ করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি টুইটে লেখেন, “ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোয় রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা মিশনের অংশ হিসাবে যাওয়া দুই বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় অত্যন্ত শোকদায়ক। এই ধরনের ঘৃণ্য় আক্রমণের পিছনে যারা রয়েছে, তাদের আটক ক,রে কঠোর শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন।”