জম্মু: ফের ড্রোনের মাধ্যমেই হামলা চালানোর চেষ্টা। শনিবার গভীর রাতে জম্মু বিমানবন্দরে বায়ুসেনার ঘাটিতে ড্রোনের মাধ্যমে পরপর দুটি বিস্ফোরণ ঘটানোর পর গতকাল রাতেও জম্মুর মিলিটারি ক্যাম্পের কাছে দুটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। তবে সেনাবাহিনীর চোখে পড়ে যাওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে ড্রোন লক্ষ্য করে গুলি চালান তাঁরা। পালিয়ে যায় ড্রোন দুটি।
গতকাল রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ জম্মুর কালুচক মিলিটারি স্টেশনের কাছে প্রথম একটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। ফের রাত দেড়টা নাগাদ আরেকটি ড্রোন দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে জারি করা হয় হাই অ্যালার্ট। সেনাবাহিনী ড্রোনগুলি লক্ষ্য করে গুলি চালাতেই তা পালিয়ে যায় বলে জানানো হয়।
সেনা বাহিনীর তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, “২৭-২৮ জুনের মধ্যরাতে দুটি ভিন্ন ড্রোনের গতিবিধি লক্ষ্য করা যায় রত্নুচক-কালুচক মিলিটারি এলাকায়। নিরাপত্তাবাহিনীদের নজরে পড়তেই হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়। ড্রোনগুলি লক্ষ্য করে গুলি চালায় কুইক রিঅ্যাকশন টিম, তবে দুটি ড্রোনই পালিয়ে যায়। সেনাবাহিনীর তৎপরতার কারণেই বড় নাশকতা এড়ানো সম্ভব হল। অতি সতর্ক রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী এবং গোটা এলাকা জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।”
High alert was sounded & Quick Reaction Teams engaged them with firing. Both the drones flew away. A major threat thwarted by the alertness & proactive approach of troops. Security forces are on high alert & search operation is in progress: Lt Col Devender Anand
PRO (Defence)— ANI (@ANI) June 28, 2021
সেনা বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু শহরের বাইরে অবস্থিত ব্রিগেড হেডকোয়ার্টারের কাছে ড্রোনগুলি উড়তে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালায় সেনা কর্মীরা। খবর দেওয়া হয় সেনাছাউনিতে। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
শনিবার জম্মু বিমানবন্দরের টেকনিক্যাল অংশ থেকে রাত ১.৩০ ও ১.৪০ নাগাদ পরপর দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ঘটনায় আহত হন বায়ুসেনার দু’জন মার্শাল। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ ও বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, ড্রোনের মাধ্যমেই ওই বিস্ফোরক আনা হয়েছিল। বিস্ফোরণের অভিঘাত দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, মাটির ১০০ থেকে ১২৫ মিটার উঁচু থেকে বিস্ফোরক ফেলা হয়েছিল। যে জায়গায় বিস্ফোরক ফেলা হয়েছে, তার আশপাশে হামলাকারী ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ হামলা চালিয়ে ফিরে গিয়েছিল ওই দুটি ড্রোন।