Scam: সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতাতে জোর করে ৭ জনের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি, মৃত্যু ২ জনের

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Nov 14, 2024 | 9:28 AM

Medical Ill Practice: অস্ত্রোপচারের পরই বিপত্তি ঘটে। মৃত্যু হয় ২ রোগীর। আইসিইউ-তে ভর্তি ৫ জন। মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, স্টেন্ট বসানোর পরই মৃত্যু হয়েছে। কোনও সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও অস্ত্রোপচার করানোর জেরেই মৃত্যু হয়েছে।

Scam: সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতাতে জোর করে ৭ জনের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি, মৃত্যু ২ জনের
প্রতীকী চিত্র।
Image Credit source: Pixabay

Follow Us

আহমেদাবাদ: ভয়ঙ্কর! সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতানোর জন্য সব সীমা ছাড়াল চিকিৎসক ও হাসপাতাল। গ্রামের সাদাসিধে মানুষদের ভুল বুঝিয়ে, জোর করে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করানো হয় হাসপাতালে। এমনটাই অভিযোগ। অস্ত্রোপচারের পরই ২ রোগীর মৃত্যু হয়। আইসিইউ-তে ভর্তি ৫ জন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ভাঙচুর করা হয় হাসপাতাল। এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত চিকিৎসক ও হাসপাতালের মালিক।

ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের আহমেদাবাদের একটি হাসপাতালে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সুবিধা পাওয়ার জন্য জোর করে রোগীদের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করানোর অভিযোগ উঠেছে।

জানা গিয়েছে, গত ১০ নভেম্বর ওই হাসপাতালের তরফে মহসেনা জেলার কাদির বোরিসানা গ্রামে স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখান থেকে ১৯ জনকে আরও কিছু পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে বিনামূল্যেই যাবতীয় চিকিৎসা করানো হবে। হাসপাতালে এনে ১৯ জনের অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করা হয়। এরপর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করানো হয় ৭ জনের।

এই খবরটিও পড়ুন

অস্ত্রোপচারের পরই বিপত্তি ঘটে। মৃত্যু হয় ২ রোগীর। আইসিইউ-তে ভর্তি ৫ জন। জানা গিয়েছে,  ডাঃ প্রশান্ত ভাজিরানি নামক এক চিকিৎসকই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করেছিলেন। মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, স্টেন্ট বসানোর পরই মৃত্যু হয়েছে। কোনও সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও অস্ত্রোপচার করানোর জেরেই মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল থেকে প্রথমে মৃত্যুর খবরও দেওয়া হয়নি বলে পরিবারের অভিযোগ।

বিষয়টি জানাজানি হতেই গ্রামের মানুষরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। এদিকে, এই ঘটনার পর থেকেই ওই চিকিৎসক এবং হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তারা পলাতক। অভিযোগ পেতেই নড়েচড়ে বসে আহমেদাবাদ জেলা প্রশাসন।  স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ডাঃ ভাবিন সোলাঙ্কি, স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান দেবাং দানি এবং প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী নিতিন প্যাটেল ওই হাসপাতালে পৌঁছন।

তবে হাসপাতালে কোনও চিকিৎসকই উপস্থিত ছিলেন না। চেয়ারম্যান, ডিরেক্টর থেকে শুরু করে চিকিৎসকরা সকলে পলাতক ছিলেন। কেবল হাসপাতালের আইসিইউতে মাত্র একজন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২ বছর আগেও এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে একই কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল।

Next Article