শ্রীনগর: হাতে অস্ত্রশস্ত্র, ঘরের ভিতরে ঘাপটি মেরে বসেছিল দুই জঙ্গি। চারিদিক থেকে সেনাবাহিনীর জওয়ানরা ঘিরে ফেললেও, বন্দুক ফেলতে নারাজ জঙ্গিরা। তবে মায়ের কাতর কার্তি শুনে আর আত্মগোপন করে থাকতে পারল না তারা। পরিবারের সদস্যদের আর্জি শুনেই আত্মসমর্পণ করল দুই জঙ্গি। জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় বুধবার সকালেই সেনা-জঙ্গির মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে। জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বললে প্রথমে রাজি না হলেও, পরে পরিবারের আর্জিতে তারা আত্মসমর্পণ করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় বেশ কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে, গোপন সূত্রে এই খবর পেয়েই কুলগামের হাদিগ্রামে তল্লাশি অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। কিছুক্ষণের মধ্যেই গুলির লড়াই শুরু হয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে। একটি বাড়ির ভিতরে আটকা পড়ে যায় দুই জঙ্গি। চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয় জঙ্গিদের।
জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হলে প্রথমে তারা অস্বীকার করে। পরে তাদের পরিবারের সদস্য়দের ঘটনাস্থানে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তারা পুলিশের নির্দেশ মতো নিজেদের সন্তানদের আত্মসমর্পণ করার আর্জি জানান। দীর্ঘক্ষণ ধরে মা-বাবার কাতর আর্জি ও কান্না শুনে জঙ্গিরা আর লুকিয়ে থাকতে পারেনি। তারা নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। তাদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
কাশ্মীর জোন পুলিশের তরফে টুইট করে জানানো হয়, কুলগামের হাদিগ্রামে এনকাউন্টার অভিযান শুরু হয়েছে। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গিদমনের কাজে নেমেছে। পরের টুইটে জানানো হয়, পুলিশ ও পরিবারের তরফে অনুরোধ করার পর দুই জঙ্গি আত্মসমর্পণ করে। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, দুই জঙ্গিই কুলগামের স্থানীয় বাসিন্দা। সম্প্রতিই তারা জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছিল। গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে ১০০-রও বেশি জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে জঙ্গি দমন অভিযানে। এদের মধ্যে অধিকাংশ জঙ্গিরাই স্থানীয়।