ভুবনেশ্বর: ওড়িশায় আছড়ে পড়েছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানা। ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ না করলেও, বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ভদ্রক সহ একাধিক জেলায়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে একটানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন গ্রামের পর গ্রাম। বিদ্যুৎ সংযোগও এখনও ফেরেনি অনেক জায়গায়। যেখানে প্রতিনিয়ত জীবনযুদ্ধ চালাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্থ সাধারণ মানুষ, সেখানেই বিপর্যয়ের সুযোগ নিয়ে ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন অনেকে। মোবাইল ছাড়া জীবন অচল। ঘূর্ণিঝড় দানার জেরে বিদ্যুৎ নেই বিভিন্ন এলাকায়। সেখানেই ঘুরে বেড়াচ্ছে জেনারেটর ভ্য়ান। তাতে মোবাইল চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার বদলে নেওয়া হচ্ছে টাকা।
ঘূর্ণিঝড় দানা আছড়ে পড়ার পর থেকেই জলমগ্ন ওড়িশার ভদ্রকের বাসুদেবপুর ব্লক। সেখানেই ঘুরছে জেনারেটর গাড়ি। সামনে লম্বা লাইন। মোবাইল ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স পণ্য চার্জ দেওয়ার জন্য প্রতি ঘণ্টায় ২০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। যদি ভূগর্ভস্থ পানীয় জল চান, তাও মিলছে। তার জন্য দিতে হবে ৩০০ টাকা।
পঞ্চায়েত প্রধান শান্তিলতা পান্ডা বলেন, “যারা অনুষ্ঠানে জেনারেটর ভাড়া দেন, তারাই পেট্রোল-ডিজেল পরিচালিত এই জেনারেটর দিয়ে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছেন।”
তবে এভাবে প্রতিদিন টাকা দিতে হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের কাছে তাদের আর্জি, দ্রুত যেন বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করা হয়।
ওড়িশায় বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে টাটা পাওয়ার। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকার মধ্যে ৯৩ শতাংশ এলাকাতেই বিদ্যু চালু হয়ে গিয়েছে। বাকি জায়গাতেও যাতে দ্রুত বিদ্যুৎ চালু করা যায়, তার জন্য অতিরিক্ত টিম কাজ করছে।