AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

India-China: টহলের ফাঁকেই ভারতে ঢোকার চেষ্টা! লাল ফৌজের ২০০ সেনাকে আটকাল ভারতীয় বাহিনী

Chinese troops stopped at Arunachal Border: সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহারের কাজ চলে সেনার প্রোটোকল মেনেই।

India-China: টহলের ফাঁকেই ভারতে ঢোকার চেষ্টা! লাল ফৌজের ২০০ সেনাকে আটকাল ভারতীয় বাহিনী
ভারত - চিন সীমান্তে জওয়ানদের টহল। ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Oct 08, 2021 | 9:33 AM
Share

নয়া দিল্লি: ফের মুখোমুখি ভারত ও চিন সেনা। লাদাখে নয়, এ বার অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় প্রায় ২০০ চিনা ফৌজের উপস্থিতির খবর মিলল। তবে বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, দুই দেশের সেনাবাহিনী মুখোমুখি হলেও সংঘর্ষে না জড়িয়ে ভারতের তরফে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে নেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহেই অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে রুটিনমাফিক টহলদারির সময় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ভারতীয় অংশের অনেকটা কাছাকাছি এসে পড়ে চিনের লাল ফৌজ।  সূত্রের দাবি, ভারতীয় সেনা প্রায় ২০০-র কাছাকাছি চিনা সেনাকে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের মাটিতে ঢুকতে বাধা দেয়।

তবে পূর্ব লাদাখের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়ায় এবার চিনা বাহিনী সরাসরি সংঘর্ষে জড়ায়নি। দুই দেশের সেনাবাহিনীর কম্যান্ডারদের খবর দেওয়া হলে তারা আলোচনার মাধ্যমে ওই সমস্যার সমাধান করে নেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহারের কাজ চলে সেনার প্রোটোকল মেনেই। সেনা প্রত্যাহারের সময়ও ভারতীয় সেনাবাহিনীকে কোনও ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।

গত বছরের মার্চ মাসে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাকে ঘিরে ভারত ও চিনের সেনা যে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল, তার রেশ এখনও রয়ে গিয়েছে। প্য়াংগ্যং হ্রদ সহ একাধিক জায়গা থেকে দুই বাহিনীর সেনা প্রত্যাহার করা হলেও গোগরা, হট স্প্রিং, দেপস্যাংয়ের মতো সংঘর্ষস্থলগুলিতে এখনও সেনা মোতায়েন রয়েছে। গত সপ্তাহেই ভারতীয় সেনা প্রধান নারাভানে জানিয়েছিলেন, চলতি সপ্তাহেই ফের মুখোমুখি হতে পারে ভারত ও চিন। দুই দেশের মধ্যে সেনাস্তরীয় বৈঠকে এই সংঘর্ষস্থলগুলি থেকে যত দ্রুত সেনা প্রত্যাহারের চেষ্টার জন্য আলোচনা করা হবে।

এদিকে, চিনের এই সীমান্তের কাছাকাছি চলে আসার প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানান, চিনের এই উসকানিমূলক ও একতরফা পদক্ষেপের বরাবরই সমালোচনা করে এসেছে ভারত। এর আগেও বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, চিনের এই স্বভাবের কারণেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ও সীমান্তে শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে সেনা বাহিনীর কোনও বিষয়ে তিনি মুখ খুলতে রাজি হননি।