সিমলা: একদিকে মেঘভাঙা বৃষ্টি, অন্যদিকে লাগাতার বৃষ্টিতে হড়পা বান-ধস। সব মিলিয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হিমাচল প্রদেশে। একদিনেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধস-বন্য়ায় মৃত্যু হল কমপক্ষে ২২ জনের। এখনও নিখোঁজ ৫ জন। শনিবারই ভোর থেকে মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয় হিমাচল প্রদেশে। লাগাতার প্রবল বর্ষণের জেরে একাধিক জায়গায় হড়পা বানও শুরু হয়। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডিরেক্টর সুদেশ কুমার মোখতা জানান, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় এক পরিবারের ৮ সদস্য সহ মোট ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টি-ধসের জেরে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে মান্ডি, কাংড়া ও চাম্বা জেলাতে। রাজ্যজুড়ে কমপক্ষে ৩৬ জায়গায় বৃষ্টি-ধসের কারণে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিগত তিন-চারদিন ধরেই রাজ্যে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে গতকাল ধর্মশালার কাছে মেঘভাঙা বৃষ্টি নামে। চাম্বা, মান্ডি সহ একাধিক জেলা ভারী বৃষ্টিতে ব্যপকভাবে প্রভাবিত হয়। মান্ডি ও সিমলা-চণ্ডীগঢ় হাইওয়ে মিলিয়ে কমপক্ষে ৭৪৩টি রাস্তা ধসে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রাস্তাঘাট, বাড়ি, দোকান জলমগ্ন হয়ে পড়ায় বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবনও।
শুধুমাত্র মান্ডিতেই হড়পা বান ও ধসের কারণে ১৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। হড়পা বানে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন কমপক্ষে ৫ জন। কাশান গ্রামে বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছে, ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি। একটি বাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে পরিবারের আট সদস্যের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকালই হিমাচল প্রদেশের কাংড়ায় চাক্কি নদীর উপরে তৈরি রেলব্রিজও ভেঙে পড়ে লাগাতার বৃষ্টি ও নদীর জলস্রোতের কারণে। এর জেরে পঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশের মধ্যে যোগাযোগ পথ বিপর্যস্ত হয়েছে। আগামী ২৫ অগস্ট অবধি রাজ্যে অতি ভারী বৃষ্টি ও ধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলো সতর্ক করেছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। আগামী ৩-৪দিনে কাংড়া, চাম্বা, মান্ডি, কুলু, সিমলা, সোলাং, হামিরপুর, উনা ও বিলাসপুরের মতো একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। আগামী ২৪ অগস্ট অবধি হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।