নয়া দিল্লি: ভারত থেকে বিভিন্ন সময়ে বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া ২৩৮টি পুরাকীর্তি দেশে ফিরিয়ে এনেছে মোদী সরকার। সোমবার (৮ মে), একটি ফ্যাক্টশিট প্রকাশ করে ঘোষণা করল কেন্দ্র। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, সিঙ্গাপুর এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলির সঙ্গে এই রকম আরও ৭২টি পুরাকীর্তি ও প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তু দেশে ফিরিয়ে আনা নিয়ে কথা চলছে ভারত সরকারের। পিআইবি-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সরকার, সারা বিশ্ব থেকে আমাদের যাবতীয় পুরাকীর্তি এবং প্রত্নবস্তু দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কয়েক শতাব্দি ধরে, গভীর সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় গুরুত্বের অসংখ্য অমূল্য প্রত্নবস্তু, চুরি করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। ভারতীয় নিদর্শন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য ভারত সরকার একটি সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছে। একের পর এক বিদেশ সফরে বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতা এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের নেতাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।”
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর থেকে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতের অন্তত ২৫১টি মূল্যবান পুরাকীর্তি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৮টিই ফিরেছে ২০১৪ সালের পর, অর্থাৎ মোদী সরকারের আমলে। আরও ৭২টি পুরাকীর্তি শীঘ্রই বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতে ফিরবে। সেগুলি ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে। পিআইবি-র বিবৃতিতে বলে হয়েছে, “২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত, বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতের ২৫১টি অমূল্য পুরাকীর্তি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৪ সালের পর ফিরিয়ে আনা হয়েছে ২৩৮টি প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তু। আরও, প্রায় ৭২টি পুরাকীর্তি বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।”
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসের শুরুতেই একটি প্রাচীন হনুমান মূর্তি বিদেশ থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। চোল যুগের শেষের দিকের, অর্থাৎ, চতুর্দশ-পঞ্চদশ শতকের পুরাকীর্তি সেটি। ১৯৬১ সালে পন্ডিচেরির ফরাসি ইনস্টিটিউটের নথিতে প্রাচীন হনুমান মূর্তিটির উল্লেখ ছিল। তামিলনাড়ুর আরিয়ালুর জেলার পোত্তাভেলি ভেলুর এলাকায় শ্রী ভরতরাজ পেরুমল নামে এক বিষ্ণু মন্দির থেকে হনুমানের মূর্তিটি চুরি গিয়েছিল। পরে অস্ট্রেলিয়া মূর্তিটির খোঁজ পাওয়া যায়। চলতি বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় ভারতীয় হাইকমিশনারের হাতে তুলে দেওয়া হয় মূর্তিটি। ফেব্রুয়ারির শেষে মূর্তিটি ভারতে এসেছিল। এরপর, তামিলনাড়ু সরকারের হাতে মূর্তিটি তুলে দেওয়া হয়েছে।