পটনা: ছুটির ঘণ্টা পড়ে গিয়েছে অনেকক্ষণ আগে, কিন্তু বাড়ি যাওয়ার উপায় নেই। স্কুলেই বন্দি রয়েছে পড়ুয়া-শিক্ষকরা। তাও আবার একদিন নয়, একটানা সাতদিন ধরে। পুলিশ, ঊর্ধ্বতন কর্তাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এভাবেই স্কুলে বন্দি হয়ে রয়েছে কমপক্ষে ২৫০ পড়ুয়া। কিন্তু কী এমন হল যে দিনের পর দিন স্কুলেই বন্দি থাকতে হচ্ছে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের?
জানা গিয়েছে, বুলডোজার দিয়ে স্কুলের রাস্তা খুঁড়ে দেওয়ার জেরেই বিগত সাতদিন ধরে স্কুলে বন্দি ২৫০ পড়ুয়া। তারা না বের হতে পারছে, না পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারছে। স্কুলে মজুত খাবারও শেষ হয়ে আসছে। এরপরে পড়ুয়াদের কী হবে, তা নিয়ে আশঙ্কিত শিক্ষকরা।
ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বেগুসরাইয়ে। সাহেবপুর কামাল থানার সমস্তিপুর গ্রামে একটি বেসরকারি আবাসিক স্কুল রয়েছে। সেখানে প্রায় ৭০০ পড়ুয়া পড়াশোনা করে। এরমধ্যে ২৫০ পড়ুয়া স্কুলেই থাকে। অভিযোগ, এলাকার কিছু দুষ্কৃতীরা মিলে বেসরকারি আবাসিক স্কুলের গেটের সামনের মাটি খুঁড়ে দিয়েছে। স্কুল ক্যাম্পাসে যাওয়ার রাস্তাতেও অনেক জায়গায় গর্ত করে দেওয়া হয়েছে। এর জেরেই আটকা পড়েছে পড়ুয়ারা।
জানা গিয়েছে, শুধু স্কুলই নয়, রাস্তার মাটি খুঁড়ে দেওয়ায় মাটির নীচের জল সরবরাহ ব্যবস্থাও বিপর্যয় হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও জল পাচ্ছেন না।
স্কুল ম্যানেজমেন্টের অভিযোগ , স্কুলের পড়ুয়াদের লেখাপড়া ব্যাহত করার জন্য গ্রামের কিছু দুষ্কৃতীরা বহুবার এমন চেষ্টা করেছে। রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি। এবার স্কুলের সামনের মাটি খুঁড়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। যার জেরে স্কুলেই আটকে রয়েছে ২৫০ পড়ুয়া। স্কুলের জমি জবরদখল করার উদ্দেশেই দুষ্কৃতীরা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে।