Revenge of Adultery: স্ত্রীর পরকীয়ার প্রতিশোধ! ১০ বছর পর বাবার সাহায্যে মা ও মায়ের প্রেমিককে খুন করল তিন ছেলে

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Jun 11, 2022 | 4:13 PM

UP: মমতা কুশওয়াহা ও ওমপাল কুশওয়াহার তিনটি ছেলে ছিল। ১০ বছর আগে রমণপাল যাদব নামের ওই গ্রামেরই এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়েছিলেন মমতা।

Revenge of Adultery: স্ত্রীর পরকীয়ার প্রতিশোধ! ১০ বছর পর বাবার সাহায্যে মা ও মায়ের প্রেমিককে খুন করল তিন ছেলে
প্রতীকী ছবি

Follow Us

শাহাজাহানপুর: ১০ বছর আগে মা তাঁদের ও তাঁদের বাবাকে ছেড়ে পালিয়েছিলেন। আরাম করে জীবন কাটাতে গ্রামেরই এক ধনী ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন বড় শহরে। প্রেমিকের সঙ্গে মায়ের পালিয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি ছেলেরা। তাঁর সংসারকে ভাসিয়ে দিয়ে অন্য পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি ‘অপমানিত’ স্বামীও। এই ঘটনায় মনে মনে রাগ পুষেছিলেন তিনিও। ১০ বছর পর প্রেমিকের সঙ্গে গ্রামে ফিরেছিলেন ওই মহিলা। সুযোগ পেয়ে তিন ছেলের সাহায্যে স্বামী নিজের পালিয়ে যাওয়া স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে খুন করেছেন বলে অভিযোগ। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের জালালাবাদ এলাকার একটি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্তকে চার জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের গ্রেফতার করা হবে।

মমতা কুশওয়াহা ও ওমপাল কুশওয়াহার তিনটি ছেলে ছিল। ১০ বছর আগে রমণপাল যাদব নামের ওই গ্রামেরই এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়েছিলেন মমতা। এক বয়স্ক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, ওমপাল প্রায়শই মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরত। ভাল জীবন পাওয়ার আশায় পালিয়েছিলেন মমতা। তার পর তাঁরা থাকছিলেন শহরে। ১০ বছর এ রকম করেই কেটে গিয়েছিল। এই ১০ বছরে মায়ের উপর একরাশ ঘৃ্ণা ও রাগ জমা হচ্ছিল মমতার ছেলেদের মনে। ওমপালও ছেলেদেরকে মায়ের আচরণের কথা মনে করিয়ে দিতেন বলে অভিযোগ।

রমণপালকে বিয়ে করলেও ওমপালের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেননি মমতা। ১০ বছর পর শহর থেকে গ্রামে ফিরে রমণপালের পৈত্রিক বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন মমতা ও রমণপাল। কয়েক মাস আঘে গ্রামে ফিরেছিলেন তাঁরা। রমণপাল ভেবেছিলেন, মমতার পরিবারের লোকেরা ঘটনার কথা ভুলে গিয়েছে। কিন্তু মমতার ছেলে ও স্বামীর মনে যে প্রতিশোধের আগুন জমা হয়েছিল তা ধারণা করতে পারেননি তাঁরা।

বুধবার রাতে মমতা ও তাঁর প্রেমিকের বাড়িতে চড়াও হন ওমপাল ও তাঁর তিন ছেলে। লাঠি দিয়ে বেধড়ক মেরে ২ জনকে ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনা নিয়ে শাহাজানপুর পুলিশ সুপার এস আনন্দ বলেছেন, “আমরা ওমপাল ও তাঁর তিন ছেলেকে আটক করেছি। শীঘ্রই তাঁদের গ্রেফতার করা হবে। গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

Next Article