নয়া দিল্লি: আর্থিক লেনদেনে এখন সকলের ভরসা ইউপিআই-র উপরেই। আর সেই অনলাইন লেনদেন ঘিরেই বাড়ছে প্রতারণার ফাঁদ। এবার নতুন প্রতারণা চক্র। দোকানপাটে অনলাইনে লেনদেনের হিসাব রাখতে যে ইউপিআই সাউন্ডবক্স রাখা হচ্ছে, তার চার্জ কীভাবে দিতে হবে না, এই পদ্ধতি শেখানোর নাম করেই বিভিন্ন দোকানদারের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। অবশেষে শনিবার ওই প্রতারককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী দিল্লির বুকে। বছর একত্রিশের এক যুবক বিভিন্ন দোকানে গিয়ে বলতেন, ইউপিআই সাউন্ডবক্সের জন্য যে চার্জ দিতে হয়, তা কীভাবে এড়ানো যায়, তিনি জানেন। সামান্য কিছু টাকা বাঁচানোর চক্করে যে সমস্ত দোকানিরা ওই যুবকের ফাঁদে পা দিত, তারাই হাজার হাজার টাকা খোয়াতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম নইম। উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা ওই যুবক তিন বছর আগে একটি ব্যাঙ্কে কাজ করতেন। দোকানে ইউপিআই পেমেন্টের জন্য কিউআর কোড কীভাবে ইন্সটল করতে হয়, সে সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা ছিল। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই প্রতারণার ফাঁদ বিছিয়েছিল ওই যুবক।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সম্প্রতিই তিন দোকানি প্রতারণার অভিযোগ জানান। ৬১ বছর বয়সী এক মুদি দোকানের মালিক জানান, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৫ হাজার টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে। আরেক দোকানি জানান, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৯ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। এক ছোলে-ভাটুরে বিক্রেতাও জানান, ৭৪০০ টাকা খুইয়েছেন তিনি।
প্রত্য়েকেই অভিযোগ জানান, এক যুবক তাদের কাছে এসে নিজেকে নামকরা একটি ব্য়াঙ্কের কর্মী বলে পরিচয় দেন। এরপর ওই যুবক বলেন যে ইউপিআই সাউন্ডবক্স রাখার জন্য প্রতি মাসে যে চার্জ দিতে হয়, এক পদ্ধতি অনুসরণ করলে তা আর দিতে হবে না। কথা বলার ফাঁকেই যুবক দোকানিদের ইউপিআই আইডির মোবাইল নম্বর, যা ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত, তা নিয়ে নিত। এরপর সেই নম্বরের মাধ্য়মেই দোকানির ইউপিআই আইডি থেকে নিজের অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে নিত। প্রমাণ লোপাট করতে ট্রানজাকশন হিস্ট্রিও ডিলিট করে দিত।
পুলিশি জেরায় জানা গিয়েছে, বিগত ৬-৭ মাস ধরে এই প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল যুবক। কমপক্ষে ৪০ জন দোকানিকে ঠকিয়ে ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি হাতিয়ে নিয়েছিল সে।