Mass Murder: একই পরিবারের ৪জনকে কুড়ুল দিয়ে গলার নলি কেটে খুন, রেহাই পেল না ৬ মাসের শিশুও

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Jul 19, 2023 | 5:09 PM

Mass Murder: হিংসার বলি হল গোটা একটি পরিবার। রেহাই পেল না ৬ মাসের শিশুও। বাড়িতে ঢুকে গলার নলি কেটে খুন করা হল একই পরিবারের ৪ জনকে। খুনের পর ৪ জনের দেহ ঘরের উঠোনে বের করে এনে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করে অভিযুক্তরা।

Mass Murder: একই পরিবারের ৪জনকে কুড়ুল দিয়ে গলার নলি কেটে খুন, রেহাই পেল না ৬ মাসের শিশুও
যোধপুরে একই পরিবারের ৪ সদস্যকে হত্যা।
Image Credit source: twitter

Follow Us

যোধপুর: হিংসার বলি হল গোটা একটি পরিবার। রেহাই পেল না ৬ মাসের শিশুও। বাড়িতে ঢুকে গলার নলি কেটে খুন করা হল একই পরিবারের ৪ জনকে। শুধু তাই নয়, খুন করার পর ৪ জনের দেহ ঘরের উঠোনে বের করে এনে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের (Rajasthan) যোধপুরের চেরাই গ্রামে। গ্রামবাসীরাই প্রথম বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন এবং ঘটনাটি জানতে পারেন। এরপর পুলিশ এসে দেহগুলি উদ্ধার করে। মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই অবশ্য এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই পরিবারের এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম পুনারাম (৫৫), তাঁর স্ত্রী ভানওয়ারি (৫০), তাঁদের পুত্রবধূ ধাপু (২৩) এবং তাঁ ৬ মাসের শিশুকন্যাও রয়েছে। কুড়ুল দিয়ে এঁদের সকলের গলার নলি কেটে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের মধ্যে এই পরিবারের এক আত্মীয় রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। তদন্ত শুরু হয়েছে এবং সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যোধপুরের (গ্রামীণ) এসপি ধর্মেন্দ্র সিং যাদব।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুনারামের একমাত্র ছেলে মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে কাজে গিয়েছিলেন। বাকিরা বাড়িতেই ছিলেন। সেই সময়ই তাঁদের বাড়িতে ঢুকে ৪ জনকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর ৪ জনের দেহ বাড়ির উঠোনে নিয়ে এসে আগুনও ধরিয়ে দিয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। মাঝরাতে পুনারামের বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে গ্রামবাসীরা তাঁর বাড়িতে ঢোকেন এবং ৪ জনের অর্ধদগ্ধ দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। গ্রামবাসীরা জানান, পুনারামের ছেলে কাজে যাওয়ায় বরাত জোরে তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।

নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়েই পুলিশবাহিনী-সহ যোধপুরের (গ্রামীণ) এসপি ধর্মেন্দ্র সিং যাদব ঘটনাস্থলে যান। তারপর বুধবার সকালে ফরেন্সিক দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। প্রশিক্ষিত কুকুর দিয়েও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পরই পুনারামের এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে সেও জড়িত রয়েছে বলে পুলিশের অভিযোগ।

এদিকে, গোটা একটি পরিবারকে এভাবে হত্যা করার ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। অশোক গেহলট সরকারের ভূমিকা নিয়ে কটাক্ষ করে রাজ্য বিজেপির প্রশ্ন, “যদি মুখ্যমন্ত্রীর শহরের আইন-শৃঙ্খলার এই অবস্থা হয়, তাহলে গোটা রাজ্যের পরিস্থিতি কী হবে?” গেহলট সরকারের তরফে অবশ্য এবিষয়ে আর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Next Article