চণ্ডীগঢ়: শীতের ছুটি পড়ে গিয়েছে, পাড়ার কচিকাঁচারা ক্ষেতের পাশে ফাঁকা রাস্তাতেই সকাল থেকে নেমে পড়ছে খেলাধুলো করতে। কখনও ক্রিকেট-ফুটবল, কখনও আবার ঘুড়ি উড়িয়েই পাড়া দাপিয়ে বেড়াত সকলে। কিন্তু এটাই পছন্দ ছিল না পাশের ওই কৃষিজমির মালিকের। খেলতে খেলতে বা ঘুড়ি ধরতে ক্ষেতে নেমে পড়ে কচিকাঁচারা, এরাই বিরক্তির কারণ তাঁর। কিন্তু সেই কারণেই যে এমন পদক্ষেপ করবে, তা কল্পনাও করতে পারেনি। ঘুড়ি তুলতে মাঠে নামায় চার বছরের এক শিশুকে পাশের খোলা নর্দমায় ছুড়ে ফেলে দিলেন এক কৃষক। মাথায় চোট লেগে ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের লুধিয়ানায়। জানা গিয়েছে, ক্ষেতে খেলাধুলো করায় বিরক্ত ওই ব্যক্তি রাগের বশে শিশুটিকে ছুড়ে ফেলে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পঞ্জাব পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, লুধিয়ানা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে মাচ্ছিওয়াড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। বিগত কয়েকদিন ধরেই আশেপাশের কলোনির বাচ্চারা খেলাধুলো করছিল। মাঝেমধ্য়েই তাঁরা ঘুড়ি কুড়োতে ও খেলতে চাষের জমিতে নেমে পড়ত। বাচ্চাদের এই খেলাধুলোয় বিরক্ত ছিলেন ওই জমির মালিক বাবু লাল। বুধবার বিকেলে অংশু নামের চার বছরের ওই বাচ্চাটি বাকি বন্ধুদের সঙ্গে ঘুড়ি কুড়োতে চাষের জমিতে নেমেছিল। সেই সময় হাতে লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাবুলাল। তিনি বাচ্চাদের দেখে তাড়া করেন। অংশু বাদে বাকি সমস্ত বাচ্চা পালিয়ে যায়। দৌড়ে অংশুকে ধরে ফেলেন তিনি। কিছুক্ষণ আটকে রেখে দেন। এরপরে রাগের বশে বাচ্চাটির হাত ধরে পাশের নর্দমায় ফেলে দেন। আছড়ে পড়ে শিশুটির মৃত্যু হয়।
কিছুক্ষণ পরে স্থানীয় বাসিন্দারাই খোলা নর্দমায় শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে উদ্ধার করে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। নিহত ওই শিশুর বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায়, তারা ঘুড়ি কুড়োতে চাষের জমিতে নেমেছিল। এরপরে ওই কৃষককে জেরা করা হলে, তিনি বাচ্চাটিকে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেন। মৃত শিশুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।