চেয়ার থেকে পড়ল আর উঠল না, অফিসেই রহস্যজনক মৃত্যু HDFC-র মহিলা কর্মীর

Sep 25, 2024 | 6:26 PM

HDFC Lucknow employee dies: বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর), তিনি কাজ করতে করতে হঠাৎ তাঁর চেয়ার থেকে পড়ে যান এবং সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বিভূতিখণ্ডের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাধারমণ সিং জানিয়েছেন, রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তাঁর দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

চেয়ার থেকে পড়ল আর উঠল না, অফিসেই রহস্যজনক মৃত্যু HDFC-র মহিলা কর্মীর
কাজ করতে করতেই চলে গেলেন এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের কর্মী সাদাফ ফাতিমা
Image Credit source: Twitter

Follow Us

লখনউ: কর্মরত অবস্থায় অফিসেই রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মৃত্যু হল লখনউয়ের এক এউচডিএফসি (HDFC) ব্যাঙ্কের মহিলা কর্মীর। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার বয়স ৪৫ বছর। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর), তিনি কাজ করতে করতে হঠাৎ তাঁর চেয়ার থেকে পড়ে যান এবং সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বিভূতিখণ্ডের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাধারমণ সিং বলেছেন, “বিভূতিখন্ডে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের অতিরিক্ত ডেপুটি ভিপি, সাদাফ ফাতিমা (৪৫) কাজ করতে করতে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মারা গিয়েছেন। তাঁর দেহের পঞ্চনামা পূরণের পর দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ পরিষ্কারভাবে জানা যাবে।”

দৈনিক ভাস্করের এক প্রতিবেদনে অনুযায়ী, সাদাফের সহকর্মীরা দাবি করেছেন তাঁর উপর চূড়ান্ত কাজের চাপ ছিল। সম্প্রতি, ‘আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়াং’ সংস্থার এক কর্মীর মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘অতিরিক্ত কাজের চাপ’-এর অভিযোগ উঠেছে। সংস্থার পুনের অফিসে কাজ করতেন ২৬ বছরের আনা সেবাস্তিয়ান। গত জুলাইয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। চলতি মাসের শুরুতে, তাঁর মা অনিতা অগাস্টিন, ‘আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়াং’ সংস্থার চেয়ারম্যান রাজীব মেমানিকে চিঠি লিখে, অভিযোগ করেন অতিরিক্ত কাজের চাপেই আনার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বাবার অভিযোগ, সিনিয়র কর্মীদের কাছে কাজের চাপ নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছিলেন আনা। এই ঘটনার পর, দেশব্যাপী কর্মক্ষেত্রে চাপ নিয়ে বিতর্ক চলছে। তারই মধ্যে এদিন ফের লখনউয়ের এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হল।


সমাজবাদী পার্টির প্রধান, অখিলেশ যাদব এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলেছেন। তাঁর দাবি, বর্তমানে দেশবাসীকে যে অর্থনৈতিক চাপের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে, তারই প্রতিফলন এই মৃত্যু। বিভিন্ন সংস্থা এবং সরকারি বিভাগগুলির অগ্রাধিকার এবং কাজের অবস্থার পুনর্মূল্যায়ন করার প্রয়োজন। তিনি বলেছেন, “সকল সংস্থা এবং সরকারি দফতরগুলিকে এই বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে। এটা দেশের মানবসম্পদের অপূরণীয় ক্ষতি। এই ধরনের আকস্মিক মৃত্যু কর্মক্ষেত্রের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয়।” অখিলেশ আরও বলেছেন, পরিষেবা বা পণ্যের পরিসংখ্যান বৃদ্ধি কোনও দেশের অগ্রগতির প্রকৃত মাপকাঠি নয়। কোনও ব্যক্তি মানসিকভাবে কতটা মুক্ত, কতটা সুস্থ ও সুখী সেটাই হল দেশের অগ্রগতির প্রকৃত মাপকাঠি।

Next Article