নয়া দিল্লি: সভাপতি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না গান্ধী পরিবার, তবুও অস্বস্তি কাটছেই না কংগ্রেসে। এবার সভাপতি নির্বাচনের স্বচ্ছতার দাবি জানিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি লিখল কংগ্রেসের পাঁচ সাংসদ। দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মধুসূদন মিস্ত্রিকে চিঠি লিখে কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাংসদরা।
জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে যারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তারা হলেন মণীশ তিওয়ারি, শশী থারুর, কার্তি চিদাম্বরম, প্রদ্যুত বরদোলুই ও আব্দুল খালেক। তারা চিঠিতে প্রার্থী ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েই একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন। লোকসভার সাংসদদের লেখা ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রতিনিধি কারা, তার একটি তালিকা প্রস্তুত করা উচিত, যাতে নির্বাচক ও প্রার্থীদের মধ্যে অযথা কোনও সংশয় তৈরি না হয়।
গত ৬ সেপ্টেম্বর লেখা ওই চিঠিতে শশী থারুর, কার্তি চিদাম্বরম, প্রদ্যুত বরদোলুইয়ের মতো নেতারা জানিয়েছেন যে এটা খুবই দুঃখজনক যে প্রার্থী ও ভোটার তালিকা প্রকাশের দাবির ভুল ব্যাখ্য়া করা হচ্ছে। তাঁরা বলেন, “আমরা দলের কোনও অভ্যন্তরীণ বা গোপন নথি বা তথ্য প্রকাশ করতে বলছি না যাতে তথ্যের অপব্যবহার হয় বা দলের কোনও ক্ষতি হয়। বরং আমরা চাই যে মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রতিনিধিদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হোক।”
সাংসদদের দাবি, এই তালিকা প্রকাশ করা হলে বোঝা যাবে যে কারা প্রার্থী ও কারা ভোট দিতে পারবেন। চিঠিতে বলা হয়েছে যে, ” “যদি নির্বাচন কমিটি প্রার্থী তালিকা প্রকাশের বিষয়ে কোনও উদ্বেগ থাকে, তবে অবশ্যই এই তথ্যটি নিরাপদে সকল ভোটার এবং সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে ভাগ করার জন্য একটি ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে। এতে নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় সংশয় দূর হবে। আমাদের এই দাবি পূরণ হলে, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিও পূরণ হবে।“
যেখানে একাধিক সাংসদ নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন, সেখানেই আবার বহু কংগ্রেস নেতা এখনও রাহুল গান্ধাীকেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে দেখার গোঁ ধরে বসে রয়েছেন। যদিও রাহুলের সাফ জবাব, তিনি আর সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবেন না।