জয়পুর: মেয়ে মানেই বোঝা নয়, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন হনুমানগঢ়ের এই কৃষক। শুধু তিনিই নন, গোটা গ্রামই আজ গর্বিত পাঁচ কন্যার উপর। সহদেব সাহারান নামক ওই কৃষকের তিন মেয়ে সম্প্রতিই রাজস্থান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে (Rajasthan Administrative Service) সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর বাকি দুই মেয়েও সরকারি কর্মী।
রাজস্থানের ভইরুসারির বাসিন্দা ওই কৃষকের আর্থিক সামর্থ্য ছিল না পাঁচ মেয়েকে স্কুলে পাঠানোর। তাই পঞ্চম শ্রেণিতেই স্কুল যাওয়ায় ইতি টানতে হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু মনে প্রবল ইচ্ছা ছিল পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করার। সেই কারণেই পাঁচ বোন বাড়িতে বসেই নিজেদের লেখাপড়া এগিয়ে নিয়ে যান।
সম্প্রতিই ২০১৮ সালের আরএএস পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। দেখা যায়, সহদেবের তিন মেয়ে অংশু, রীতু ও সুমন, সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। মঙ্গলবার ছিল দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন। ইন্টারভিউতেও পাস করে করে তিন বোন। রাতেই ফল প্রকাশ হয়, দেখা যায় তিনজনই নির্বাচিত হয়েছে।
মেয়েদের সাফল্যে গর্বিত বাবাও। তিনি জানান, আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় বেশিদিন স্কুলে পাঠাতে না পারলেও বাড়িতে মেয়েদের লেখাপড়ায় কোনও বাধা দেননি তিনি। কেবল রীতু, অংশু ও সুমনই নয়, আরও দুই বোনও সরকারি চাকুরে। এদের মধ্যে একজন আবার ঝুনঝুনু জেলার বিডিও।
আইএফএস অফিসার প্রবাণ কাসোয়ানও রাজস্থানের এই পাঁচ কন্যার প্রশংসা করেন। টুইটে তিনি লেখেন, “সহদেব সাহারানের পাঁচ মেয়েই এখন সরকারি আধিকারিক। রীতু, অংশু ও সুমন গতকালই নির্বাচিত হয়েছে। বাকি দুজন আগে থেকেই কাজ করছে। পরিবার ও গ্রামের জন্য গর্বের মুহূর্ত এটি।” আরও পড়ুন: ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে সামনে বড় বিপদ’, তৃতীয় ঢেউ রোখার ৪ দাওয়াই দিলেন মোদী