নয়া দিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ। দেশের একাধিক রাজ্যে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে এই কৃষ্ণ ছত্রাকের সংক্রমণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলে। ইতিমধ্যেই এই সমস্যাকে মহামারী তকমা দেওয়া হয়েছে। আর অসুখ যত বাড়ছে, ততই টান পড়ছে ওষুধের ভাঁড়ারে। তাই নতুন করে আরও পাঁচ সংস্থাকে এই রোগের ওষুধ তৈরির লাইসেন্স দিল কেন্দ্র।
এই অসুখের একটাই ওষুধ, যার নাম অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি। সেই ওষুধের অভাবের কথা ইতিমধ্যেই জানিয়েছে একাধিক রাজ্য। তাই ওষুধ নিয়ে উদ্যোগী হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক, বিদেশ মন্ত্রক ও ফার্মেসি বিভাগ। কেন্দ্রের দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নাটকো ফার্মাসিউটিক্যাল, অ্যালেম্বিক ফার্মাসিউটিক্যাল, গুফিক বায়োসায়েন্স লিমিটেড, এমাকিওর ফার্মাসিউটিক্যাল ও লায়কা। চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে এই সংস্থাগুলি মাসে অন্তত ১ লক্ষ ১১ হাজার ভায়াল এই ওষুধ তৈরি করবে। এ ছাড়া, জুন মাসে বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে ৩ লক্ষ ১৫ হাজার।
আরও পড়ুন: সম্বিত পাত্রর টুইট থেকে ‘ভুয়ো’ তকমা মুছতে হবে, টুইটারের কাছে দাবি কেন্দ্রের
‘অ্যাম্ফোটেরিসিন বি’ নামে এই ওষুধের তেমন চাহিদা ছিল না। কিন্তু এখন অনেকেই কিনতে আসছেন এই ওষুধ। ফলে ওষুধের স্টোর থেকে ক্রমশ কমে যাচ্ছে এই অ্যাম্ফোটেরিসিন। উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, কর্ণাটকে একই ছবি দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই ওষুধের জোগান বাড়াতে টেন্ডার দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। আরও বেশি অ্যাম্ফোটেরিসিন ইঞ্জেকশন আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেই রাজ্যে। বর্তমানে ভারত সেরাম অ্যান্ড ভ্যাকসিন, ওকহার্ড, অ্যাবট হেলথকেয়ার, উনাইটেড বায়োটেক ও সিপলা এই ওষুধ তৈরি করে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। নরেন্দ্র মোদী বলেন, “করোনাযুদ্ধের মাঝেই নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, এর জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।”