পটনা : বিহারে মদ বিক্রি ও মদ্যপান নিষিদ্ধ। গুজরাটের পর এবার বিহারে বিষমদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা হল। সোমবার বিহারে বিষ মদ খেয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিষমদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫। বিহারের রোহতাস জেলার জয়শ্রী গ্রামে বিষমদ খেয়ে মৃতের খবর পাওয়া গিয়েছিল আগেই। সেই সংখ্য়া বাড়ছে ক্রমশ। মৃতের সংখ্যা ১৫ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিহারের রোহতাস জেলার জয়শ্রী গ্রামে বিষমদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন একাধিক ব্যক্তি। বিষমদ খেয়ে প্রথমেই চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। এরপর গতকাল আরও একজনের মৃত্যু হয়। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মুন্না শাহ। গতকাল তাঁর মৃত্য়ু হয়। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা এই বিষ মদ পানের ঘটনায় মৃত্য়ু হতে পারে মোট ১৫ জনের। এখনও বেশ কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। বিষ মদ পানের পরই দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে গিয়েছিল মুন্নার। তারপরই বিক্রমগঞ্জের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য তাঁকে ভর্তি করা হয়। তারপর পটনার পিএমসিএইচ এ তাঁকে রেফার করেন ডাক্তাররা। এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ আশীষ ভারতী, বিক্রমগঞ্জের এসডিএম উপেন্দ্র কুমার পাল, ডিএসপি শশী ভূষণ সিং ইতিমধ্য়েই জয়শ্রী গ্রামে পরিদর্শনে গিয়েছেন। সেখানে সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা।
তদন্তে নেমে এক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। জিতেন্দ্র চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে। সে এই মদ বিক্রি করেছিল বলে জানা গিয়েছে। তাকে এই অভিযোগে জেলে পাঠানো হয়েছে। এরপরই পাশাপাশি গ্রামেও অভিযান চালানো হয় পুলিশের তরফে। সেখান থেকে অবৈধ মদ সমেত ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসপি ভারতী। উল্লেখ্য, গত নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে বিহারে পাঁচটি বিষমদ পানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেই সময় রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল জেডিইউ-বিজেপি সরকার। তবে এখন রাজ্যে পালাবদল হয়েছে। সদ্য় বিজেপির হাত ছেড়ে আরজেডি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করেছেন নীতীশ কুমার। মহাগঠ বন্ধন সরকারের শাসনেও ফের বিষমদ কাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। বিহারে মদ্যপান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছিল নীতীশ সরকারে তরফে। বিভিন্ন অভিযানও করা হয়েছে। তবে বেআইনি মদ বিক্রি যায়নি রোখা।