মুম্বই: যেদিকেই চোখ যাচ্ছে, শুধু টাকা আর টাকা! অপা কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই আরও বড় দাঁও মারল আয়কর দফতর। তবে এবার কলকাতা নয়, বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হল মহারাষ্ট্র থেকে। বৃহস্পতিবার আয়কর দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে মহারাষ্ট্রের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৩৯০ কোটি টাকার বেনামি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগেই মহারাষ্ট্রের জালনা জেলায় কয়েকজন ব্যবসায়ীর বাড়ি-কারখানা সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। সেখানেই খোঁজ মেলে এই বিপুল সম্পত্তির।
আয়কর দফতরের নাসিক শাখা ১ অগস্ট থেকে ৯ অগস্ট অবধি জালনা ও ঔরঙ্গাবাদ জেলার একাধিক ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের বাড়ি ও অফিসে হানা দেয়। সূত্র মারফত আগেই খবর মিলেছিল, বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণে কর ফাঁকি দিয়েছেন এবং আয় বহির্ভূত বিপুল সম্পত্তিও রয়েছে তাদের কাছে। সেই তথ্যসূত্র ধরেই স্টিল, বস্ত্র ব্যবসায়ী ও রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারদের বাড়ি ও অফিসে হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। টানা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা এই অভিযানে প্রায় ৩৯০ কোটি টাকার বেআইনি সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে।
বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির মধ্যে ৩২ কিলোগ্রাম সোনা, মুক্তো ও হিরে ছিল, যার বাজার মূল্য ১৪ কোটি টাকা। নগদ ৫৮ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও প্রচুর সম্পত্তির কাগজ ও বেশ কিছু ডিজিটাল তথ্যও উদ্ধার করা হয়েছে তল্লাশি চলাকালীন। শুধুমাত্র উদ্ধার হওয়া নগদ টাকা গুনতেই আয়কর দফতরের আধিকারিকদের ১৩ ঘণ্টা সময় লেগেছিল বলে জানা গিয়েছে। মোট ২৬০ জন আধিকারিক সহ কয়েক হাজার আয়কর দফতরের কর্মীরা এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শুধুমাত্র তল্লাশি অভিযানের জন্যই ১২০টি গাড়ি ব্যবহার হয়েছিল।
আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬০ জন শীর্ষকর্তা ও আধিকারিকরা মোট পাঁচটি দলে ভাগ হয়ে জালনা ও ঔরঙ্গাবাদের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল। এরমধ্য়ে স্টিল, জামাকাপড় ও রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে যুক্ত দুটি বাণিজ্যিক গ্রুপেরই কর্মকর্তাদের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। রাজ্য়জুড়ে সপ্তাহব্যাপী তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৩৯০ কোটি টাকার বেআইনি ও হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়।