মুম্বই: মুখে ইস্তফার কথা বললেও, কুর্সি বাঁচাতে মরিয়া উদ্ধব ঠাকরে। মহারাষ্ট্রের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে প্রায় ৪০ জন বিধায়ক মিলে শিবসেনার বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ শুরু করেছে, তাতে চরম সঙ্কটের মুখে পড়েছে মহা বিকাশ আগাড়ি জোটও। বিদ্রোহী বিধায়কদের কীভাবে বাগে আনা যায় এবং মহারাষ্ট্রের ক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখা যায়, তা নিয়েই শনিবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে বসেন উদ্ধব ঠাকরে। ওই বৈঠকেই মোট ছয়টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হল শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালা সাহেব ঠাকরের নামের অপব্যবহার করা যাবে না। একইসঙ্গে উদ্ধব ঠাকরেকেই শিবসেনার দলনেতা হিসাবে মেনে নেওয়া হয়েছে এই বৈঠকে।
প্রথম শপথ– জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে উপস্থিত নেতারা সর্বসম্মতিক্রমে জানিয়েছেন যে উদ্ধব ঠাকরেই শিবসেনার নেতৃত্ব দেবেন। যে সমস্ত শিবসেনা বিধায়করা উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বের বিরোধিতা করেছেন, তাদেরও তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। যেকোনও পরিস্থিতিতে উদ্ধব ঠাকরেই দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানানো হয়েছে।
দ্বিতীয় শপথ– করোনাকালে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে উদ্ধব ঠাকরে যে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং রাজ্য়বাসীদের সুরক্ষিত রাখতে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, তার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয় এবং মুখ্যমন্ত্রীর এই কাজে শিব সৈনিকরা গর্বিত বলেই জানানো হয়।
তৃতীয় শপথ– আসন্ন পুরসভা, পৌর কাউন্সিল, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি সহ যাবতীয় আঞ্চলিক নির্বাচনে শিবসেনার কর্মীরা জয় নিশ্চিত করবেই।
চতুর্থ শপথ– বিগত কয়েক বছরে মহারাষ্ট্র সরকার ও বৃহ্ণমুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন যেভাবে রাজ্য়ের উন্নয়নে উপকূল সংলগ্ন এলাকায় রাস্তা, মেট্রো রেল প্রকল্প, জমি সংক্রান্ত করে ছাড়ের মতো কাজ করেছেন, তার জন্য ধন্যবাদ জানানো হচ্ছে। একইভাবে উদ্ধব ঠাকরে ও আদিত্য় ঠাকরেকেও ধন্যবাদ জানানো হয়েছে মুম্বইয়ের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য।
পঞ্চম শপথ– শিবসেনা ও বালা সাহেব ঠাকরে একই মুদ্রার দুই পিঠ। শিবসেনা ও বালা সাহেবকে আলাদা করা সম্ভব নয়। শিবসেনা ছাড়া অন্য কেউ বালা সাহেবের নাম ব্যবহার করতে পারবে না।
ষষ্ঠ শপথ– শিবসেনা বরাবরই হিন্দুত্ববাদ নিয়ে সৎ ছিল। ঐক্যবদ্ধ মহারাষ্ট্র ও মারাঠি অস্মিতাকে বাঁচিয়ে রাখার মন্ত্রেই বিশ্বাসী শিবসেনা।