পঞ্জাব: গ্রামেরই প্রায় ৩০০ ফুট গভীর পাতকুয়োয় পড়ে গিয়েছিল ৬ বছরের শিশু। তাকে উদ্ধারে জেসিবি মেশিন থেকে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফোর্স (NDRF), সবরকম চেষ্টা করা হয়। ৯ ঘণ্টা ধরে চলে লড়াই। গভীর পাতকুয়ো থেকে তোলাও হয়েছিল শিশুটিকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তার মৃত্যু হয়। রবিবার পঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের গাডরিওয়ালা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। নিহত ওই শিশুর নাম ঋত্বিক। সূত্রের খবর, মাঠে খেলার সময় একটি কুকুর তাড়া করে। পাতকুয়োর মুখ বস্তা দিয়ে জড়ানো ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ছ’ বছরের শিশু লাফিয়ে তার উপর উঠে পড়ায় সেই ভার সহ্য করতে পারেনি। এরপরই ভিতরে পড়ে যায় সে। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। পুলিশ সবরকম ব্যবস্থা করে। জেসিবি মেশিন আনানো হয়। খবর দেওয়া হয় সেনাকে। নামানো হয় এনডিআরএফ।
কিন্তু কিছুতেই ছ’ বছরের ওই শিশুটিকে তোলা যাচ্ছিল না। উদ্ধারকারীরা একটি ক্লিপের মাধ্যমে প্রথমে তাকে তোলার চেষ্টা করছিল। কিন্তু বারবার ফসকে নিচে পড়ে যাচ্ছিল সে। এরপরই জেসিবি মেশিন এনে খনন শুরু হয়। কিন্তু দেড় ঘণ্টায় মাত্র ১৫ ফুট খনন সম্ভব হয়। এদিকে শিশুটি যেখানে আটকে তা প্রায় ৬৫ ফুট গভীর। ক্রমেই ঝিমিয়ে পড়ছিল শিশুটি। তাকে বাঁচানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করেছিল উদ্ধারকারীরা। তাকে স্বাভাবিক রাখতে নামানো হয় অক্সিজেন। কিন্তু পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ঘোরাল হতে শুরু করে।
ਬਹੁਤ ਦੁਖਦਾਈ ਖਬਰ..ਹੁਸ਼ਿਆਰਪੁਰ ਦੇ 6 ਸਾਲਾ ਰਿਤਿਕ ਦੀ ਬੋਰਵੈੱਲ ‘ਚ ਡਿੱਗਣ ਕਾਰਨ ਮੌਤ ਹੋ ਗਈ..
ਪਰਮਾਤਮਾ ਪਰਿਵਾਰ ਨੂੰ ਭਾਣਾ ਮੰਨਣ ਦਾ ਬਲ਼ ਬਖ਼ਸ਼ੇ..ਪਰਿਵਾਰ ਦਾ ਘਾਟਾ ਪੂਰਾ ਨਹੀਂ ਕੀਤਾ ਜਾ ਸਕਦਾ..ਪਰ ਅਸੀਂ ਇਸ ਦੁੱਖ ਦੀ ਘੜੀ ਵਿੱਚ ਉਨ੍ਹਾਂ ਦੇ ਨਾਲ ਹਾਂ..ਪਰਿਵਾਰ ਨੂੰ ₹2 ਲੱਖ ਦੀ ਸਹਾਇਤਾ ਰਾਸ਼ੀ ਦੇਣ ਦੇ ਨਿਰਦੇਸ਼ ਜਾਰੀ ਕੀਤੇ ਹਨ।
— Bhagwant Mann (@BhagwantMann) May 22, 2022
টানা ৯ ঘণ্টার টানাপোড়েন ওইটুকু শিশু কীভাবেই বা সইতে পারত? তবু হাল ছাড়েনি উদ্ধারকারী দল। সবটা দিয়ে চেষ্টা করে ঋত্বিককে তুলে আনার। উদ্ধার করাও হয়। নিয়ে যাওয়া হয় হোশিয়ারপুর হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে ছোট্ট প্রাণ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান টুইটারে শোক প্রকাশ করেন। পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা সহযোগিতার কথাও ঘোষণা করেন তিনি।