নয়া দিল্লি: স্বাস্থ্য বিমা-জীবন বিমার ক্ষেত্রে স্বস্তির ইঙ্গিত মিললেও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলার মতো খবরও রয়েছে। দাম বাড়ল আটটি জরুরি ওষুধের। অ্যাজ়মা, টিবি, হাঁপানি, থেলাসেমিয়া, গ্লুকোমা সহ একাধিক ওষুধের দাম এক ধাক্কায় পঞ্চাশ শতাংশ বাড়াল কেন্দ্র।
কেন এমন পদক্ষেপ?
জানা যাচ্ছে, ওষুধ সংস্থাগুলির তরফে দাম বৃদ্ধির জন্য চাপ তৈরি করা হচ্ছিল। আর তাতেই শেষ পর্যন্ত দাম বাড়ানোয় সায় দিয়েছে এনপিপিএ (ন্যাশানাল ফারমাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথারিটি)। বলা হয়েছে, ওষুধ তৈরির বিভিন্ন উপাদান কেনার খরচ বৃদ্ধি, উৎপাদনের খরচ বৃদ্ধির ফলে আগের দামে ওষুধ বিক্রি করে পোষাতে পারছে না সংস্থাগুলি। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। তবে এতে রোগীরা তো বটেই, পাশাপাশি সরব হয়েছে চিকিৎসক মহলের একাংশ।
চিকিৎসক কাজলকৃষ্ণ বণিক বলেন, “এটা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের দেশে যে অসুখগুলি বেশি-বেশি হয়, তার মধ্যে হাঁপানি, হার্টের অসুখ, চোখের অসুখ আছে। সেখানে পাইলোকারপাইন, অ্যাট্রোপিনের মতো ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হতভাগ্য শিশুগুলির তাদের চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ হল ডিফেরক্সামিন। তার দামও বাড়ানো হল। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ নতুন করে আর ওষুধের দাম বাড়িয়ে গরিব মানুষের কাঁধে নতুন করে বোঝা চাপাবেন না।”