8 Yr Old Moves High Court: ‘খাকি’ দেখলেই কেঁপে উঠছে ৮ বছরের মেয়েটি, আদালতের দ্বারস্থ নাবালিকা

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Nov 19, 2021 | 12:54 AM

Kerala High Court: মিথ্য়া চুরির অভিযোগে হেনস্থা করা হয়েছিল তাকে। তারপর থেকে সুস্থ জীবন-যাপন করতে পারছে না ওই নাবালিকা। এবার আদালতের দ্বারস্থ হল সে।

8 Yr Old Moves High Court: খাকি দেখলেই কেঁপে উঠছে ৮ বছরের মেয়েটি, আদালতের দ্বারস্থ নাবালিকা
কেরল হাইকোর্টের দ্বারস্থ নাবালিকা ()

Follow Us

কেরল : বাবার সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল ছোট্ট মেয়েটি। তারপর একটা ঘটনাই জীবনটা একেবারে ওলটপালট করে দিয়েছে। অযথা চোর বদনাম শুনতে হয়েছে তাকে ও তার বাবাকে। শুধু তাই নয়, জনসমক্ষে হেনস্থা করতেও ছাড়েনি সিভিক পুলিশ। জামাকাপড় ধরে টানাটানি, তারপর গায়ের রঙ তুলে গালিগালাজ। কিছুক্ষণের মধ্যেই এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছে সে। বাড়ি ফেরার পর থেকে কোনও ভাবেই সে সব ভুলতে পারছে না মেয়েটি। তাই অবশেষে বিচার চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ওই ৮ বছরের নাবালিকা।

বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে একটি টানেল তৈরির কাজ চলছিল। সেটাই বাবার হাত ধরে দাঁড়িয়ে দেখছিল ওই নাবালিকা। পিঙ্ক পুলিশ বা সিভিল পুলিশের একটি গাড়ি দাঁড়িয়েছিল আবেদনকারী নাবালিকার বাবার বাইকের কাছেই। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য় সেখানে ছিল পুলিশ। জল পিপাসা পাওয়ায় আবেদনকারী ওই নাবালিকা বাবার সঙ্গে একটি দোকানে যায়। আচমকা এক মহিলা পুলিশ কর্মী এসে তাদেরকে বলে মোবাইলটা ফেরৎ দিতে।

এ কথা শুনে চমকে যায় তারা। পুলিশকে বোঝাতে শুরু করে যে তারা মোবাইলটা নেয়নি। অথচ পুলিশ কর্মীর দাবি, গাড়ি থেকে সে ও তার বাবা মোবাইলটা চুরি করেছে। আবেদনে ওই নাবালিকা জানিয়েছে, তারা অস্বীকার করলে, তাদের গায়ের রঙ নিয়েও কু কথা বলতে শুরু করেন পুলিশ কর্মী। আরও এক জন এসে বলেন যে তিনি নাকি দেখেছেন, নাবালিকা ও তার বাবাকে পুলিশের গাড়ি থেকে মোবাইলটা তুলে নিতে। এরপর পুলিশ কর্মীর গায়ের গন্ধ নিয়েও মন্তব্য করতে শুরু করে।

আবেদনকারীর অভিযোগ, মোবাইল খোঁজার ছুতোয় তাদের গা থেকে পোশাক ধরেও টানাটানি করে পুলিশ। পরে অন্য এক পুলিশ কর্মী এসে দেখায় যে, পুলিশের গাড়িতেই রয়েছে ফোনটি। আবেদনকারীর দাবি, কোনও কারণ ছাড়াই তাদের জনসমক্ষে হেনস্থা করা হয়েছে। তাদের নিয়ে রীতি মতো হাসাহাসি শুরু করেছিল লোকজন। মেয়েটি জোরে কাঁদতে শুরু করলে লোক জড় হয়ে যায়। আর ওই ঘটনার পর থেকে মানসিক অবস্থা ভালো নয় নাবালিকার।

যেহেতু নাবালিকা তফশিলি জাতি অন্তর্ভুক্ত, তাই শিডিউলড কাস্ট ও শিডিউলড ট্রাইব আইনে মামলা হয়েছে। ওই ঘটনার পর বাড়ি ফিরলেও ভয় কাটছে না ওই নাবালিকার। এমনকি অনলাইনও ক্লাসও করতে পারেনি সে একদিন। খাকি রঙের পোশাক দেখলেই ভয়ে শিউরে উঠছে সে। অবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছে যে, তার চিকিৎসার প্রয়োজন হয়েছে। তাকে একটি মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়। কাউন্সেলিংও করাতে হয়। নাবালিকার বাবা অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি। নাবালিকার বাবার অভিযোগ, এত কিছুর পরও ওই পুলিশ কর্মীকা বারবার নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টাই চোখে পড়েছে।

আবেদনকারীর দাবি, এই ঘটনায় আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। রাজ্য সরকার যাতে ওই ঘটনার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা দেয়, সেই দাবিও জানিয়েছে নাবালিকা।

আরও পড়ুন : পর পর তিনদিন একদিনের সংক্রমণ ৮০০ পার! বিপদ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে না তো?

Next Article