নয়া দিল্লি : ৮০৮৯ জন আধিকারিককে পদোন্নতি দিতে চলেছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, এই পদোন্নতির ক্ষেত্রেও সংরক্ষণকে বিবেচনা করা হবে। অর্থাৎ, সংরক্ষণের ভিত্তিতে তফসিলি জাতি ও উপজাতি কর্মচরীদের পদোন্নতি মিলবে এই দফায়। এর পাশাপাশি ৫,০৩২ জন অসংরক্ষিত কর্মীদেরও পদোন্নতি হয়েছে এই দফায়। ৭২৭ জন তফসিলি জাতি এবং ২০৭ জন উপজাতি এই পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুবিধা পেয়েছে। তবে ৩৮৯ জন কর্মীর পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোনও তথ্য শেয়ার করা হয়নি কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরের তরফে।
প্রসঙ্গত, গত প্রায় ছয় বছর ধরে আইনি ঝামেলার জেরে স্থগিত ছিল অধস্তন সচিব স্তর পর্যন্ত কর্মী ও আধিকারিকদের পদোন্নতি। ২০২০ সালের মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জানায়,সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণকে গুরুত্ব দেওয়া বা না দেওয়া সম্পূর্ণ সরকারের সিদ্ধান্তের মধ্যেই পড়ে। কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার কীসের ভিত্তিতে তাদের কর্মীদের পদোন্নতি দেবে তা সম্পূর্ণ সংশ্লিষ্ট সরকারের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। সেই সংরক্ষণের পিছনে কারণও জানাতে হবে না সেই সরকারকে।
তবে এর আগে সরকারের জাতির ভিত্তিতে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত রদ করতে চেয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। সেই মামলায় কেন্দ্রের তরফে একটি হলফনামা জারি করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, ‘সরকারি চাকরিতে তফসিলি জাতি ও উপজাতি কর্মীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ প্রথা বন্ধ করে দেওয়া হলে কর্মীদের মধ্যে অস্থিরতা ও ক্ষোভ তৈরি হবে। এছাড়াও পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নীতি জারি রাখতে সংবিধান ও আদালতের বেঁধে দেওয়া নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা হচ্ছে।’ এইবার সেই জট কাটতেই পদোন্নতি হতে চলেছে সরকারি কর্মচারীদের।