ভাইজ্যাগ: সামান্য অসাবধানতা, তারপরই গ্য়াস লিক। ফের একবার ভয়ঙ্কর গ্যাস লিকের ঘটনার সাক্ষী রইল অন্ধ্র প্রদেশ। মঙ্গলবার রাতে বিশাখাপত্তনমের আনাকাপল্লে জেলার এক স্পেশাল ইকোনমিক জোনে গ্যাস লিকের ঘটনা ঘটে। রাতেই কমপক্ষে ৫০ জনকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল। সকাল হতেই জানা গেল, অসুস্থের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। গভীর রাতেই আরও কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। বর্তমানে বিশাখাপত্তনমের বেশ কয়েকটি হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ৮৭ জন ভর্তি রয়েছেন। জানা গিয়েছে, একটি পোশাক প্রস্তুতকারী ইউনিট থেকেই গ্যাস লিক হয়েছিল। কিন্তু কোথা থেকে সেই গ্যাস এসেছিল, কীভাবেই বা তা ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।
প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে অচ্যুতাপুরমের ব্রান্ডিক্স স্পেশাল ইকোনমিক জ়োনে একটি পোশাক প্রস্তুতকারী কারখানায় গ্যাস লিক হয়। ওই ঘটনায় কমপক্ষে ৮৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। সকলেই স্থিতিশীল রয়েেছেন বলে জানা গিয়েছে। এখনও অবধি কোনও মৃত্য়ুর খবর মেলেনি।
এদিকে, দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড। তারা বাতাসের নমুনা সংগ্রহ করে সেকেন্দ্রাবাদের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব কেমিক্যাল টেকনোলজিতে পাঠিয়েছেন পরীক্ষার জন্য। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বিষাক্ত কোনও গ্যাস নাকে যেতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই কারখানার মহিলা কর্মচারীরা। বমি ও মাথা ঘোরা শুরু হয় তাদের। এরপরই একে একে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে প়ড়েন অসুস্থ কর্মীরা।
আনাকাপল্লে পুলিশের তরফে জানানো হয়, রাত ন’টা নাগাদ অচ্য়ুতাপুরমের একটি কারখানায় গ্যাস লিক হয়েছে বলে জানা যায়। বেশ কয়েকজন মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাদের প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অসুস্থতার কারণ এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি। বর্তমানে ওই প্ল্যান্টে কোনও গ্যাসের গন্ধও নেই। তবু সুরক্ষাবশত আপাতত ওই প্ল্যান্টটি বন্ধ রাখা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।