ইন্দোর: বাবা ঠিকা শ্রমিক, কাজ করেন নির্মীয়মাণ বহুতলের নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে। নয় বছরের কিশোরী তাই সারাদিন খেলাধুলো করত ওই নির্মীয়মাণ সাইটে। কিন্তু সেখানেই যে কুনজর ওত পেতে বসে রয়েছে, তা জানত না কেউ। মা-বাবার পাশ থেকেই ঘুমন্ত কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ (Physical Assault) করল এক যুবক। বর্তমানে ওই কিশোরীর অবস্থা সঙ্কটজনক। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের ইন্দোর শহরে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্য প্রদেশের ইন্দোরে এক কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়। শুক্রবার মধ্য রাতে রাজেন্দ্র নগর কলোনিতে একটি নির্মীয়মাণ বিল্ডিংয়ের পাশেই ঝুপড়ি থেকে ওই কিশোরীকে অপহরণ করা হয়। ওই কিশোরী তাঁর মা-বাবার পাশেই ঘুমোচ্ছিল। ঘুমন্ত অবস্থাতেই তাঁকে অপহরণ করা হয়। নির্মীয়মাণ সাইটের অন্য় একটি প্রান্তে নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়।
জানা গিয়েছে, ওই নির্মীয়মাণ সাইটেই নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজ করেন নির্যাতিতার বাবা। শুক্রবার মধ্য রাতে মেয়ের চিৎকার ও কান্না শুনেই তাঁদের ঘুম ভাঙে। উঠে দেখতে পান, পাশে মেয়ে নেই। এরপরই আওয়াজ শুনে সাইটের অপর প্রান্তে যান। সেখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় কিশোরীকে। সঙ্গে সঙ্গে কাছেরই একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ওই নির্মীয়মান সাইটের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয় এবং তাঁর খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়। শনিবার বিকেলেই গ্রেফতার করা হয় ৩২ বছরের এক যুবককে। জানা গিয়েছে, ওই যুবক ইন্দোরের আহিরখেড়ি গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে অপহরণ, ধর্ষণ ও পকসো আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে, নির্যাতনের জেরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে ওই কিশোরী। অত্যাধিক রক্তপাতের কারণে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।