ভোপাল: অনেকদিন বাদে মেলা বসেছিল, তাই আনন্দ-মজা করতেই প্রায় গোটা গ্রামই হাজির হয়েছিল সেই মেলায়। আর মেলা মানেই টুইটাক ফুচকা, ঘুগনি খাওয়া। কিন্তু সামান্য ফুচকা খেয়েই যে এমন ভয়ঙ্কর অবস্থা হতে পারে, তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেনি শৃঙ্গারপুর গ্রামের বাসিন্দারা। মেলায় বসা ফুচকার দোকান থেকে ফুচকা খেয়েই রাতারাতি হাসপাতালে ভর্তি হতে হল প্রায় ১০০ জনকে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের মান্ডলা জেলায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে মান্ডলা গ্রামের ওই মেলায় ফুচকা খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ে শতাধিক মানুষ। কমপক্ষে ৯৭ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। জানা গিয়েছে, মেলায় ফুচকা পর প্রথমে শিশুরাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাত থেকেই একাধিক ব্যক্তির বমি, পেটে ব্যাথা ও ডায়েরিয়া শুরু হয়। শেষ অবধি ৯৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
জানা গিয়েছে, যে ফুচকাওয়ালার থেকে সকলে ফুচকা খেয়েছিলেন, তিনি গ্রামে যথেষ্ট জনপ্রিয়। গ্রামের ওই মেলা বসতেই সকলে তাঁর দোকান থেকে ফুচকা খেতেই ভিড় জমিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ফুচকা খেয়েই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন যে, শনিবার রাত থেকে একের পর এক রোগী পেট ব্যাথা, বমি নিয়ে হাসপাতালে আসতে শুরু করেন। প্রথমে শিশুরাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে প্রাপ্তবয়স্করাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকলকেই প্রশ্ন করে জানা যায়, নির্দিষ্ট ওই দোকান থেকে ফুচকা খাওয়ার পরই তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে মোট ৯৭ জন ভর্তি রয়েছেন, এদের মধ্যে ৩৩ জনই শিশু। বেশ কিছু শিশুর জ্বরও এসেছে। রাত থেকেই চিকিৎসকেরা তাদের শুশ্রষা শুরু করেছেন এবং রবিবার সকালের মধ্যেই অনেকের অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যায়।
একসঙ্গে এতজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওই ফুচকাওয়ালাকে আটক করেছে পুলিশ এবং তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৬৯ ও ২৭২ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।