মুম্বই: রবিবার সকালেই জানা গিয়েছিল, হুমকি দেওয়া হয়েছে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। ১০ দিনের মধ্যে, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা না দিলে, তাঁকে ‘বাবা সিদ্দিকির মতো করে’ হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, ফাতিমা খান নামে এক ২৪ বছর বয়সী মহিলাকে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশ। তারা জানিয়েছে, তদন্তে জানা গিয়েছে ওই মহিলার মোবাইল ফোন নম্বর থেকেই ওই হুমকি বার্তাটি পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ফাতিমা খান অত্যন্ত উচ্চশিক্ষিত। তবে, তিনি মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছেন। আরও জানা গিয়েছে, ওই মহিলার তথ্য-প্রযুক্তিতে বিএসসি ডিগ্রি রয়েছে। তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে থানেতে থাকেন। তাঁর বাবা কাঠের ব্যবসা করেন।
শনিবার সন্ধ্যায় মুম্বই ট্রাফিক পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে যোগী আদিত্যনাথের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। উড়ো ফোনে বলা হয়, যদি ১০ দিনের মধ্যে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে যোগী আদিত্যনাথ ইস্তফা না দেন, তবে তাঁর পরিণতিও এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকির মতো হবে। বাবা সিদ্দিকির মতো করেই তাঁকে হত্যা করা হবে। মুম্বই পুলিশের কাছে এই হুমকি আসার পরই হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়। তদন্ত শুরু করে মুম্বই পুলিশ। কে, কোথা থেকে এই হুমকি দিয়েছে, তার খোঁজ শুরু হয়। রবিবার পুলিশ জানতে পারে, ফাতিমা খানের ফোন থেকেই ওই হুমকিগুলি দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মুম্বইয়ে পুলিশের কাছে নাগাড়ে হত্যার হুমকি এসেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগের নিশানা ছিল সলমন খান। হুমকি দেওয়া হচ্ছিল, মুক্তিপণ না দিলে বলি অভিনেতাকে হত্যা করা হবে। এই বছরের শুরুতে তাঁর বাসভবনের বাইরে গুলি চালিয়েছিল লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। তাই, পুলিশ এই হুমকিগুলিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছিল। বার্তাপ্রেরকদের ট্র্যাক করে তাদের হেফাজতেও নেয়। এর মধ্যে রয়েছে জামশেদপুরের এক সবজি বিক্রেতা এবং নয়ডার একজন ট্যাটু শিল্পী। তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মুম্বই পুলিশ। হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল বান্দ্রার বিধায়ক তথা বাবা সিদ্দিকির ছেলে, জিশান সিদ্দিকিকেও। গত ১২ অক্টোবর, বাবা সিদ্দিকিকে তাঁর ছেলের অফিসের কাছেই গুলি করে হত্যা করা হয়। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে।