পাতিয়ালা: বঙ্গের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। ট্রায়াল রান শেষ হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ফের এক মর্মান্তিক ঘটনায় জড়ালো বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের নাম। এদিন, পঞ্জাবের রোপার এলাকার কিরাতপুর সাহিবের কাছে, উনা থেকে নয়া দিল্লিগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় তিন বছরের এক শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হওয়ায়, হিমাচল প্রদেশের উনা থেকে নয়া দিল্লি যাওয়ার সময় দুই ঘন্টা কমে গিয়েছে। উনার আম্ব আন্দাউরা স্টেশন থেকে নয়া দিল্লি স্টেশন পর্যন্ত চলে ট্রেনটি। এটি ভারতে চালু হওয়া চতুর্থ বন্দে ভারত ট্রেন।
সূত্রের খবর, বাবার পিছন পিছন চলতে গিয়েই মেয়েটি এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয়। মেয়েটির বাবা পায়ে হেঁটে রেলপথ পার হচ্ছিলেন। তিনি লক্ষ্যই করেননি যে, মেয়ে তাঁর পিছু নিয়েছে। ওই ব্যক্তি উপযুক্ত সময়ে রেলপথ অতিক্রম করতে পারলেও, নাবালিকা তা করতে পারেনি। চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর উনার আম্ব আন্দাউরা স্টেশন থেকে নয়াদিল্লি পর্যন্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটির যাত্রার সূচনা করেছিলেন। ১৯ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছিল নিয়মিত পরিষেবা। একমাত্র শুক্রবার ছাড়া, সপ্তাহের ছয় দিনই চলে ট্রেনটি।
এই প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্ঘটনা ঘটল, তা নয়। চলতি বছরের নভেম্বরেই গুজরাটের আনন্দের কাছে এই আধা-হাইস্পিড ট্রেনের ধাক্কায় বিয়াট্রিস আর্চিবল্ড পিটার নামে আহমেদাবাদের বাসিন্দা এক মহিলার মৃত্যু হয়েছিল। তিনি আনন্দে এসেছিলেন তাঁর এক আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে। ভালেজ ওভারব্রিজের কাছে বন্দে ভারত ট্রেনের ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। ট্রেনটি গান্ধীনগর ক্যাপিটাল স্টেশন থেকে মুম্বই সেন্ট্রাল স্টেশনে যাচ্ছিল।
এই পথে বন্দে ভারত ট্রেন চলা শুরু হয়েছিল ৩০ সেপ্টেম্বর। তারপর থেকে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে ৬ অক্টোবর, ভাটভা এবং মণিনগর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে চারটি মহিষের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রেনটির সামনের প্যানেলের ক্ষতি হয়েছিল। তার পরদিনই, অর্থাৎ ৭ অক্টোবর আনন্দ স্টেশনের কাছে ট্রেনটি একটি গরুকে ধাক্কা দিয়েছিল। এরপর, গুজরাটের অতুল রেল স্টেশনের কাছে ধাক্কা লেগেছিল একটি ষাঁড়ের সঙ্গে।