Guwahati: ফের ফ্রিজে টুকরো টুকরো দেহ, শিকার স্বামী ও শাশুড়ি; হত্যার সাতমাস পর ধৃত মহিলা খুনি

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Feb 20, 2023 | 3:18 PM

Guwahati Woman kills husband and mother-in-law: শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের ছায়া এবার অসমের গুয়াহাটিতে। এই ক্ষেত্রে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক মহিলার বিরুদ্ধে।

Guwahati: ফের ফ্রিজে টুকরো টুকরো দেহ, শিকার স্বামী ও শাশুড়ি; হত্যার সাতমাস পর ধৃত মহিলা খুনি
স্বামী এবং শাশুড়িকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ বন্দনা কলিতার বিরুদ্ধে

Follow Us

গুয়াহাটি: আরও একটি হত্যাকাণ্ড। ফের টুকরো টুকরো করা হল দেহ। সংরক্ষণ করা হল ফ্রিজে। পরে দেহাংশগুলি বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ফেলে দেওয়া হল। শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের ছায়া এবার অসমের গুয়াহাটিতে। তবে, এই ক্ষেত্রে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক মহিলার20বিরুদ্ধে। স্বামী এবং শাশুড়িকে সে এই রকম নৃশংসভাবেই হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বস্তুত, এই জোড়া হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল মাস সাতেক আগে গুয়াহাটির নুনমতি এলাকায়। ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘটনাটি সামনে আসে। প্রধান আসামি বন্দনা কলিতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সে অপরাধ স্বীকার করেছে।

প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালের ১৭ অগস্ট সে তার স্বামী অমরজ্যোতি দে এবং শাশুড়ি শঙ্করী দে-কে তার দুই সঙ্গীর সহায়তায় হত্যা করেছে। এর পিছনে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। ১৯ অগস্ট পুলিশে একটি এফআইআর দায়ের করে বন্দনা কলিতা দাবি করেছিলেন, তাঁর স্বামী এবং শাশুড়ি দুজনেই হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। নুনমাটি পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করার পর, তিনি তাঁর শাশুড়ির ভাইয়ের নামে আরও একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন। এই ক্ষেত্রে তাঁর অভিযোগ ছিল, শাশুড়ির অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরাচ্ছে তাঁর ভাই। আর এই দ্বিতীয় এফআইআরটিই ছিল বন্দনা কলিতার ভুল পদক্ষেপ।

নিহত শঙ্করী দে এবং অমরজ্যোতি দে

দ্বিতীয় এফআইআর-এর পর শঙ্করী দে-র অ্যাকাউন্টের তথ্য খতিয়ে দেখে পুলিশ। আর তাতেই ধরা পড়ে, শঙ্করীর ভাই নয়, বরং শাশুড়ির অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ লক্ষ টাকা সরিয়েছে বন্দনাই। এরপরই তাঁকে জেরা করা শুরু করেছিল পুলিশ। জেরার মুখে বন্দনা কলিতা জানায়, অরূপ ডেকা এবং ধনজিৎ ডেকা নামে আরও দুই ব্যক্তির সাহায্যে তিনিই অমরজ্যোতি ও শঙ্করী দে-কে হত্যা করেছেন। পরে ওই দুজনের সাহায্যেই দেহ ফেলে দেন। তাঁদের মধ্যে একজনের সঙ্গে বন্দনার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল এবং তার জেরেই এই জোড়া হত্যা করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। এই বিষয়ে আরও তদন্ত করা হচ্ছে।

বন্দনা ও বকি দুই অভিযুক্তকে জেরা করে পুলিশ আরও জানতে পারে, অমরজ্যোতি এবং শঙ্করীকে হত্যার পর দেহগুলি প্রথমে টুকরো টুকরো করে বন্দনাদের ভাড়া বাড়ির ফ্রিজেই রেখে দিয়েছিল। পরে, মেঘালয়ের বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়া হয়। অমরজ্যোতির দেহ ডাউকিতে এবং শঙ্করীর দেহ চেরাপুঞ্জিতে ফেলা হয়েছিল। পরে পুলিশ চেরাপুঞ্জির এক গিরিখাত থেকে শঙ্করীর দেহাংশ উদ্ধার করে। অমরজ্যোতির দেহাংশ এখনও পাওয়া যায়নি।

Next Article