অসম: ভূমিকম্প হলেই প্রথম প্রশ্ন আসে তীব্রতা কত? অর্থাৎ কত ম্যাগনিচ্যুড! উত্তর ৭ বা ৮ যাই হোক না কেন, পরিমাপ করার প্রচলিত স্কেল একটাই রিখটার। এবার আরও নির্ভুল একটি স্কেল আবিষ্কার করে দেখালেন অসমের বাঙালী বিজ্ঞানী রঞ্জিত দাস। তাঁর আবিষ্কৃত স্কেলের নাম ‘দাস ম্যাগনিচ্যুড স্কেল (Das Magnitude Scale)।’ ইতিমধ্যেই তাঁর গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে ‘সিসমোলজিক্যাল সোসাইটি অব আমেরিকা’ জার্নালে।
১৯৩৫ সালে আবিষ্কৃত হয় রিখটার স্কেল। যা আবিষ্কার করেছিলেন বিজ্ঞানী চার্লস ফ্রান্সিস রিখটার। ১৯৭৯ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল মোমেন্ট ম্যাগনিচ্যুড স্কেল। আবিষ্কার করেছিলেন হিরু কানামোরি ও টমাস হ্যাঙ্কস। নিজের গবেষণায় সেই স্কেলের কথাও উল্লেখ করেছেন রঞ্জিত দাস। তবে তাঁর আবিষ্কৃত এমডব্লিউজি স্কেল কানামোরি ও হ্যাঙ্কসের এমডব্লিউ স্কেল থেকে ভিন্ন।
আরও পড়ুন: ব্রিটেনের নতুন স্ট্রেইন রুখতে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করছে কেন্দ্র
এমডব্লিউজি স্কেলের মাধ্যমে ভূমিকম্পের কেন্দ্রের সবচেয়ে বেশি গতিসম্পন্ন তরঙ্গের মাপ নেয়। ৩০ বছরের মোট ২৫ হাজারেরও বেশি ভূমিকম্পের অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ উল্লেখ করে এমডব্লিউ ও এমডব্লিউজি পরিমাপ করে দেখিয়েছেন রঞ্জিত। যেখানে কম্পন থেকে উদ্ভূত শক্তি বেশি মিলেছে তাঁর তৈরি এমডব্লিউজি স্কেলের সঙ্গে। রঞ্জিতের এই গবেষণায় সহযোগী হিসাবে ছিলেন মুকুটলাল শর্মা, দীপঙ্কর চৌধুরী, হংসরাজ ওয়াসন ও গ্যাব্রিয়েল গঞ্জালেজ়।