চেন্নাই: আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ১৪ হাজার কিমি দূরে একটা চাপা উত্তেজনা। টেনশন। দক্ষিণ ভারতের ছোট্ট একটা গ্রাম এখন ‘কমলাময়’। মনে প্রাণে সবাই চাইছেন, তাঁদের মেয়েই হোয়াইট হাউসের মসনদে বসুন। চাইবেন না-ই বা কেন। এই গ্রামের সঙ্গে যে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের পারিবারিক সম্পর্ক। হ্যারিসের জয় প্রার্থনা করে গ্রামে ব্যানারও পড়েছে।
৫ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। তাঁর মাতামহ পিভি গোপালনের জন্ম তামিলনাড়ুর থুলাসেন্দ্রপুরমে। ফলে চেন্নাই থেকে ৩০০ কিমি দূরের এই গ্রামের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে কমলা হ্যারিসের। তাঁর মা শ্যামলা গোপালন উচ্চশিক্ষার জন্য ১৯ বছর বয়সে পাড়ি দিয়েছিলেন আমেরিকায়।
কমলা হ্যারিস একবার এই গ্রামে পা রেখেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ৫ বছর। দাদুর হাত ধরে চেন্নাইয়ের সমুদ্র সৈকতে ঘুরেছিলেন। এরপর ২০০৯ সালে চেন্নাই বিচে এসেছিলেন। মায়ের অস্থি বিসর্জন দিতে। গ্রামে হয়তো আর পা পড়েনি হ্যারিসের। কিন্তু, তাঁকে ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে। গ্রামের মন্দিরে হ্যারিসের জয়ের প্রার্থনা করে পুজো দিয়েছেন বাসিন্দারা। গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় তাঁর নামে পোস্টার দিয়েছেন বাসিন্দারা। ‘গ্রামের মহান মেয়ে’ বলে একটা ব্যানার টাঙানো হয়েছে মন্দিরের সামনে।
বছর আশির এক বাসিন্দা বলেন, “কমলা হ্যারিসের জন্য আমাদের এই ছোট্ট গ্রাম এখন বিশ্বের কাছে পরিচিত। তাঁর সঙ্গে সবসময় আমাদের আশীর্বাদ রয়েছে।” আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হ্যারিস জিতলে তাঁরা গ্রামে মিষ্টি বিলি করবেন বলে আর একজন জানান।
কমলা হ্যারিসের কোনও আত্মীয় এখন আর থুলাসেন্দ্রপুরমে থাকেন না। কমলা হ্যারিসের মাতামহ যে বাড়িতে জন্মেছিলেন, সেখানে এখন কেউ থাকেন না। ফাঁকা ভিটের মতো পড়ে রয়েছে। তবে গ্রামে কমলা হ্যারিসের নামে একটি বাসস্টপ বানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এখন শুধু ৫ নভেম্বরের অপেক্ষা। ওইদিন আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ১৪ হাজার কিমি দূরে বসে ওই নির্বাচনের দিকে নজর রাখছে দক্ষিণ ভারতের ছোট্ট এই গ্রাম। নির্বাচনে জিতে কমলা ইতিহাস গড়ুন, সেই প্রতীক্ষায় রয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা।