নয়াদিল্লি: কোথায় থাকবেন দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল? মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর আপ সুপ্রিমোর থাকার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আপ নেতৃত্ব বলছে, কেজরীবালের বাসস্থানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আপের রাজ্যসভার সাংসদ রাঘব চাড্ডা শুক্রবার বলেন, কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রককে চিঠি দেবে আপ। এবং তাঁরা আশা করেন যে এক-দু’দিনের মধ্যে আপের জাতীয় আহ্বায়কের থাকার ব্যবস্থা করবে কেন্দ্র।
চলতি সপ্তাহেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কেজরীবাল। দলের তরফে জানানো হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে সরকারি বাসভবন ছেড়ে দেবেন আপ সুপ্রিমো। তাহলে কোথায় থাকবেন তিনি? শুরু হয় জল্পনা।
এদিন, রাঘব চাড্ডা বলেন, জাতীয় দল হিসেবে দিল্লিতে তাঁদের একটি অফিস পাওয়ার কথা। এবং দলের সুপ্রিমোর জন্য থাকার জায়গা পাওয়ার কথা। ২০২২ সালে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের পর জাতীয় দলের তকমা পায় আপ। প্রায় ২ বছর পর আদালতের হস্তক্ষেপে আপকে দিল্লিতে অফিসের জায়গা দেয় কেন্দ্র। গতমাসেই রবিশঙ্কর শুক্লা লেনে ওই নতুন অফিসে আপের সদর দফতরের কাজ শুরু হয়।
এবার আপ সুপ্রিমোর বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে কেন্দ্রের কাছে দাবি জানালেন রাঘব চাড্ডা। তিনি বলেন, “দেরি না করে আপ আহ্বায়কের বাসভবনের ব্যবস্থার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। বাসস্থান পাওয়া অরবিন্দ কেজরীবাল ও আপের অধিকার।” তিনি বলেন, বিজেপি, কংগ্রেস-সহ ৬টি জাতীয় রাজনৈতিক দলের প্রধানদের বাসস্থান রয়েছে দিল্লিতে।
কেজরীবালের বাসভবনের ব্যবস্থার জন্য কেন্দ্রকে চিঠি দিচ্ছে আপ। রাঘব চাড্ডা আশা প্রকাশ করেন, কেজরীবালের বাসভবনের জন্য আইনি লড়াই লড়তে হবে না তাঁদের। রাজ্যসভার এই সাংসদ বলেন, দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেওয়ার পরই সরকারি সমস্ত সুযোগ সুবিধা একে একে ছেড়ে দেবেন কেজরীবাল। রাঘব চাড্ডা বলেন, কেজরীবালের কোনও সম্পত্তি কিংবা বাসভবন নেই। তাই, একটি জাতীয় দলের প্রধান হিসেবে তাঁর প্রাপ্য বাসভবনের ব্যবস্থা কেন্দ্র দ্রুত করবে বলে তিনি আশাবাদী।