নয়া দিল্লি: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর লাগাতার নির্যাতনে ফুঁসছে ভারতও। ঢাকায় গিয়ে কড়া বার্তা দিয়ে এসেছেন ভারতের বিদেশ সচিব। পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই একাধিক রাজ্যে দেখা যাচ্ছে প্রতিবাদের ঢেউ। প্রতিবাদের ঝড় এবার রাজধানী দিল্লিতেও। মঙ্গলবারই সিভিল সোসাইটি অফ দিল্লির তরফে বাংলাদেশ দূতাবাস পর্যন্ত ডাক দেওয়া হয়েছিল বিশাল প্রতিবাদ মিছিলের। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর লাগাতার নির্যাতন, অত্যাচারের বিরুদ্ধে ওঠে স্লোগান।
ইতিমধ্যেই সিভিল সোসাইটি অফ দিল্লির তরফে এদিনের কর্মসূচি নিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে। তাতেই বলা হয়েছে সিভিল সোসাইটি অফ দিল্লির পাশাপাশি এদিনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিল ২০০ টিরও বেশি সামাজিক, ধর্মীয়, ব্যবসায়িক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
এদিনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন সাধ্বী ঋতাম্বরা, ইসকনের শ্রী কেশব মুরারি, ইন্ডিয়া সেন্ট্রাল এশিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক শ্রী রমাকান্ত দ্বিবেদী, দিল্লি পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার শ্রী এস এন শ্রীবাস্তব, বাংলাদেশে ভারতের প্রাক্তন হাইকমিশনার শ্রীমতি ভীণা সিকরি, বৌদ্ধ ধর্মগুরু শ্রী রাহুল ভন্তে। ছিলেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ। মিছিল থেকে সুর চড়ান কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মিছিল থেকেই সুর চড়াতে দেখা যায় সাধ্বী ঋতাম্বরাকে। সাফ বলেন, ‘আমাদের সহানুভূতিকে দুর্বলতা মনে করবেন না। নারীদের অপমান সহ্য করবে না হিন্দু সমাজ।’
প্রসঙ্গত, দেশজোড়া আন্দোলনের আবহে কয়েক মাস আগেই বাংলাদেশের মসনদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন শেখ হাসিনা। ছাড়তে হয়েছে দেশ। তৈরি হয়েছে অন্তবর্তী সরকার। এদিকে হাসিনা দেশ ছাড়াতেই তাঁর দল আওয়ামী লিগের কর্মীদের উপর উপর বাংলাদেশে ব্যাপাক অত্যাচার শুরু হয়ে যায় বলে অভিযোগ। সঙ্গে লাগাতার সংখ্যালঘু নিপীড়নের খবরও সামনে আসে। এরইমধ্যে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিতে আরও ঘোরালো হয় পরিস্থিতি। এদিকে এরইমধ্যে আবার ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের পারাপাতনের আবহে ভারতের মানচিত্র বদলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা। এমনকী কলকাতা দখলের ডাকও এসেছে। তপ্ত আঁচে পাল্টা আক্রমণ ধেয়ে গিয়েছে এপার থেকেও। এদিকে বর্তমানে আবার ভারতেই রয়েছেন শেখ হাসিনা।