মায়ানমার: বাংলাদেশ সীমান্তে নতুন আতঙ্ক। সীমান্ত ঘেঁষা ২৭০ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে ভয় বাড়ছে বাংলাদেশের। ওই এলাকা হল মায়ানমারের। বাংলাদেশ সীমান্তের সঙ্গে লাগোয়া মায়ানমারের ২৭০ কিলোমিটার এলাকা পুরোপুরি দখল নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। মংডু শহর দখলের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ সীমান্ত এলাকার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে দাবি গোষ্ঠীটির।
মায়ানমারের সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি দীর্ঘ সময় ধরে বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটেলিয়নের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত জান্তা বাহিনীর দখলে থাকা সীমান্ত এলাকাটি রবিবার তারা দখলে নিয়েছে। এই নিয়ে ব্যাপক সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
মায়ানমারের আরাকান আর্মি জানিয়েছে, তারা রোহিঙ্গা মিলিমিয়া বাহিনী আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ), আরাকার রোহিঙ্গা স্যালেভেশন আর্মি (এআরএসএ) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) ও শাসক গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াই করেছে। শেষ পর্যন্ত তারা আক্রমণের মুখে মায়ানমার জান্তা বাহিনী ওই এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
রাখাইনের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মংডুর এই যুদ্ধের পরে প্রায় ৮০ জন রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সহ সরকারি সৈন্যদের পাশাপাশি সামরিক অপারেশন কমান্ডো ১৫-এর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুনকে গ্রেফতার করেছে আরাকান আর্মি। বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা হওয়াও আবার নতুন করে রোহিঙ্গা প্রবেশের শঙ্কায় রয়েছে বাংলাদেশ।
আরাকান আর্মি মে মাসের শেষের দিকে মংডু আক্রমণ শুরু করে। আর সীমান্তবর্তী এই শহরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেতে ছ’মাস সময় লেগেছে গোষ্ঠীটির।