ইটানগর : প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত ও চিনের মধ্যে বিবাদ এখনও বর্তমান। ড্রাগনের দেশের নজর থেকে সদা সতর্ক ভারত। তাই অরুণাচলপ্রদেশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বিশাল পরিকাঠামো গঠন করছে ভারত। শনিবার এক ভারতীয় সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, এলএসি বরাবর বিশাল পরিকাঠামো গঠন করা হচ্ছে ভারতের তরফে। চিনের গতিবিধির উপর আরও কাছ থেকে নজরদারির উদ্দেশ্যেই এই কাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। পার্বত্য় অঞ্চল ও অরণ্যের কারণে এই নজরদারি কঠিন হয়ে পড়ছিল ভারতীয় সেনার পক্ষে।
নিরাপত্তা, শান্তি ও নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনী পরিকাঠামো উন্নয়নেও জোর দিয়েছে। চিনের সঙ্গে সীমান্ত বরাবর ভারতীয় সেনারা দিন রাত টহল দেন। সেখানে কোনও সড়ক পথে যোগাযোগ নেই। এর ফলে টহলদারি আরও কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে ভারতীয় সেনার কাছে। পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাসে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের ছবি এখনও উজ্জ্বল। সেই গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে সীমানায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে মেজর রাজেশ ঠাকরে বলেছেন, ‘আমাদের কাছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্র ও সরঞ্জাম রয়েছে। আমাদের পরিকল্পিত কাজগুলি দক্ষতা সহকারে সম্পাদন করার জন্য সমস্ত ফ্রন্টলাইনে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে যথাযথ সমন্বয় রয়েছে। চমৎকার যোগাযোগের কারণে শেষ পোস্ট পর্যন্ত আমরা স্যাটেলাইট ডেটা অ্য়াক্সেস করতে পারি।’
আরও বেশি করে নজরদারি চালাতে পরিকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেজর। তিনি বলেছেন, ‘মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য সীমান্ত বরাবর এই নির্মাণ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে এটিই হল সরকারের বিশাল অগ্রগতির বড় সাক্ষ্য প্রমাণ। আমরা একবিংশ শতাব্দীর সেনাবাহিনী। আমরা সীমান্ত বরাবর শান্তি রাখার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা কখনোই আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে দেব না।’ ভারতীয় সেনা জওয়ান বিজেন্দর সিং জানিয়েছেন, যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত সেনাবাহিনী। তারা এখন শত্রুদের যোগ্য জবাব দিতে জানে। তিনি বলেছেন, ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে আবহাওয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বৃষ্টির পর এই জায়গা পিচ্ছিল হয়ে যায়। আমরা ২৫ কেজি ভার নিয়ে টহল দিই। তবে এই সব কিছুর মধ্য়েও চিনকে কড়া জবাব দিতে আমরা ১০১ শতাংশ প্রস্তুত। আমরা অনেক শক্তিশালী দেশ।’