গোধরা : গোধরা কাণ্ডে এক দোষী সাব্যস্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল গোধরার একটি আদালত। ২০০২ সালে গুজরাট হিংসার আগে ২৭ শে ফেব্রুয়ারি অযোধ্যা থেকে ফিরছিল ট্রেন। গোধরায় সেই ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেই ঘটনায় ৫৯ জন করসেবক মারা গিয়েছিলেন। এই ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় অন্যতম দোষী সাব্যস্ত হল রফিক ভাটুক। এবার তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল গুজরাট এক দায়রা আদালত।
গুজরাটের পঞ্চমহল জেলার গোধরাতে এক অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক শনিবার দোষী সাব্যস্ত রফিক ভাটুককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। ২০০২ সালের এই ঘটনায় গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পঞ্চমহল পুলিশের একটি বিশেষ অপারেশন গ্রুপ (SOG) গোধরা শহরের কাছাকাছি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল। গোধরা কাণ্ডে অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই পলাতক ছিল রফিক। তারপর থেকেই বিভিন্ন শহর ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে। অবশেষে নিজের শহরে ফিরতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর তার বিরুদ্ধে মামলার শুনানি শুরু হয়।
রফিককে নিয়ে গোধরা কাণ্ডে হল ৩৫ তম অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হল। এর আগে বিশেষ তদন্তকারী দল ২০১১ সালের ১ মার্চ এই মামলায় ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। তাদের মধ্যে ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। বাকি ২০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছিল। তবে ২০১৭ সালের অক্টোবরে গুজরাট হাইকোর্ট এই ১১ জনের মৃত্যুদণ্ডের বদলে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। পরে আরও দু’জনকে যাবজ্জীবনকে দুটি ভিন্ন কারণে যাবজ্জীন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, গোদরার এই ঘটনার কিছুদিন পরেই গুজরাটে হিংসার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন একাধিক নাগরিক। আহতও হয়েছিলেন বহু। মনে করা হয় এই গোটা হিংসার সূত্রপাত গোধরায় করসেবকদের ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া থেকেই। কিছুদিন আগে গুজরাট হিংসার ঘটনায় তৎকালীন মুখ্য়মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারেও গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে গোধরার ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।