আহমেদাবাদ : ২০০২ সালের গুজরাট হিংসা। সেই ঘটনায় গুজরাটের তৎকালীন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছিল সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদের বিরুদ্ধে। এই গুজরাট হিংসার ঘটনায় ভুয়ো তথ্য দেওয়ার জন্য ও নিরপরাধ ব্যক্তিদের নামে মিথ্যে অভিযোগ করায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন তিস্তা। সুপ্রিম কোর্টে এই অভিযোগে দোষীও সাব্যস্ত হয় তিস্তা। গত জুন মাসে গুজরাট পুলিশের অপরাধ দমন শাখা সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ ও প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনেরাল অব পুলিশ (DGP) শ্রীকুমারকে গ্রেফতার করেছিল। শনিবার সেই মামলায় দু’জনকে জামিন খারিজ করল আহমেদাবাদের সেশন কোর্ট।
তিস্তা ও শ্রীকুমারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৮ (উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঠকানো) ও ১৯৪ ধারায় (মিথ্যা প্রমাণ দেওয়া) মামলা রুজু হয়। সম্প্রতি প্রকাশ্য়ে আসে, গুজরাট হিংসা নিয়ে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল হলফনামা পেশ করে তিস্তা ও শেতলবাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে, তৎকালীন গুজরাট সরকারে বিরুদ্ধে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশীদার তাঁরা। জানা যায়, তিস্তা মোদী সরকারে বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রমাণ সাজানোর জন্য কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের থেকে টাকাও নিয়েছিলেন। বিশেষ তদন্তকারী দল অভিযোগ জানিয়েছেন, ২০০২ সালের গোধরা ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনার পরেই আহমেদ প্যাটেল তিস্তাকে ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন।
এই অভিযোগে গত মাসের ২৬ তারিখ মহারাষ্ট্রের জুহুর বাড়ি থেকে তিস্তাতে গ্রেফতার করে। আর গুজরাটের গান্ধীনগরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় শ্রীকুমারকে। বিশেষ তদন্তকারী দল দাবি করেছে যে, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধি, পুলিশ ও প্রশাসনের কালিমালিপ্ত করেছিলেন আর বি শ্রীকুমার।