Adhir Chowdhury on Hijab Row: ‘হিজাব পরা অপরাধ নয়’, সংসদে বিবৃতির দাবি জানালেন অধীর চৌধুরী

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Feb 08, 2022 | 10:56 PM

Adhir Chowdhury on Hijab Row: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল কেন, তা নিয়ে মামলাও হয়েছে হাইকোর্টে। শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছে আদালত।

Follow Us

নয়া দিল্লি : হিজাব বিতর্কে উত্তপ্ত কর্ণাটক। মামলা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। মঙ্গলবার লোকসভায় এই ইস্যুতে বিবৃতির দাবি জানালেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তাঁর আর্জি, কেন্দ্রীয় সরকারকে এই ইস্যুতে বিবৃতি দিতে হবে। মঙ্গলবার লোকসভায় এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জোর করে হিজাব সরানোর চেষ্টা চলছে। এটা বন্ধ হওয়া উচিৎ। তাঁর আরও দাবি, কারও হিজাব পরাটাকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা উচিৎ নয়। দেশে ধর্ম বিদ্বেষের মতো ঘটনা সামনে আসছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। মঙ্গলবারই হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা ছিল। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি আর্জি জানিয়েছেন, যাতে এই ইস্যুতে কোনও অশান্তি না করা হয়। শান্তি বজায় রাখার বার্তাই দিয়েছে আদালত। এদিকে, বিতর্ক এত চরমে পৌঁছেছে যে কর্ণাটকে তিন দিন স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ দিন কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘সরকার যখন সবকা সাথ, সবকা বিকাশের কথা বলছে, তখন দেশের আর এক প্রান্তে অন্য ঘটনা ঘটছে।’ কংগ্রেস নেতাকে জবাব দিয়ে কর্ণাটকের বিজেপি নেতা শিবকুমার চানাবাসাপ্পা জানান, বিষয়ে এখন আদালের বিচারাধীন, তাই এই বিষয়ে সংসদে আলোচনা করা সম্ভব নয়।

কোথায় বিতর্কের সূত্রপাত?

মাস খানেক আগে উদুপির গভর্নমেন্ট গার্লস পিইউ কলেজে ছ জন হিজাব পরিহিত শিক্ষার্থীকে ক্লাসরুমে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর থেকে সেই জেলার পরপর চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, হিজাব ছাড়া কলেজে আসতে হবে, তবেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। তাঁদের দাবি, কলেজ চত্বরে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। গত শনিবার কর্নাটক সরকারের তরফে একটি নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছিল। হিজাব বিতর্কের আঁচ গিয়ে পড়েছে রাজনীতিতেও। রাজনৈতিক নেতাদের অনেকেই এই ইস্যুতে আক্রমণ করেছে বিজেপিকে।

আগেই আক্রমণ শানিয়েছেন রাহুল গান্ধী

আগেই এই প্রসঙ্গে একটি টুইট করেন রাহুল গান্ধী। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমরা ভারতের মেয়েদের ভবিষ্যতটাই কেড়ে নিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের হিজাব তাদের শিক্ষার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমরা ভারতের মেয়েদের ভবিষ্যৎ কেড়ে নিচ্ছি। মা সরস্বতী সবাইকে কাউকে ভেদাভেদ করেন না।’

শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছে আদালত

এই ইস্যুতে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছে আদালত। সংবিধানে আস্থা রাখার কথা বলেছেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘সংবিধানে মানুষের আস্থা রাখা উচিৎ। কিছু লোক এই ইস্যুতে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু, রাস্তায় নামা, বিক্ষোভ দেখানো, স্লোগান দেওয়া ঠিক নয়, পড়ুয়াদের ওপর হামলা চালানো বা অন্য কারও ওপর পড়ুয়াদের হামলা চালানো উচিৎ নয়।’

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

নয়া দিল্লি : হিজাব বিতর্কে উত্তপ্ত কর্ণাটক। মামলা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। মঙ্গলবার লোকসভায় এই ইস্যুতে বিবৃতির দাবি জানালেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তাঁর আর্জি, কেন্দ্রীয় সরকারকে এই ইস্যুতে বিবৃতি দিতে হবে। মঙ্গলবার লোকসভায় এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জোর করে হিজাব সরানোর চেষ্টা চলছে। এটা বন্ধ হওয়া উচিৎ। তাঁর আরও দাবি, কারও হিজাব পরাটাকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা উচিৎ নয়। দেশে ধর্ম বিদ্বেষের মতো ঘটনা সামনে আসছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। মঙ্গলবারই হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা ছিল। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি আর্জি জানিয়েছেন, যাতে এই ইস্যুতে কোনও অশান্তি না করা হয়। শান্তি বজায় রাখার বার্তাই দিয়েছে আদালত। এদিকে, বিতর্ক এত চরমে পৌঁছেছে যে কর্ণাটকে তিন দিন স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ দিন কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘সরকার যখন সবকা সাথ, সবকা বিকাশের কথা বলছে, তখন দেশের আর এক প্রান্তে অন্য ঘটনা ঘটছে।’ কংগ্রেস নেতাকে জবাব দিয়ে কর্ণাটকের বিজেপি নেতা শিবকুমার চানাবাসাপ্পা জানান, বিষয়ে এখন আদালের বিচারাধীন, তাই এই বিষয়ে সংসদে আলোচনা করা সম্ভব নয়।

কোথায় বিতর্কের সূত্রপাত?

মাস খানেক আগে উদুপির গভর্নমেন্ট গার্লস পিইউ কলেজে ছ জন হিজাব পরিহিত শিক্ষার্থীকে ক্লাসরুমে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর থেকে সেই জেলার পরপর চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, হিজাব ছাড়া কলেজে আসতে হবে, তবেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। তাঁদের দাবি, কলেজ চত্বরে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। গত শনিবার কর্নাটক সরকারের তরফে একটি নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছিল। হিজাব বিতর্কের আঁচ গিয়ে পড়েছে রাজনীতিতেও। রাজনৈতিক নেতাদের অনেকেই এই ইস্যুতে আক্রমণ করেছে বিজেপিকে।

আগেই আক্রমণ শানিয়েছেন রাহুল গান্ধী

আগেই এই প্রসঙ্গে একটি টুইট করেন রাহুল গান্ধী। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমরা ভারতের মেয়েদের ভবিষ্যতটাই কেড়ে নিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের হিজাব তাদের শিক্ষার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমরা ভারতের মেয়েদের ভবিষ্যৎ কেড়ে নিচ্ছি। মা সরস্বতী সবাইকে কাউকে ভেদাভেদ করেন না।’

শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছে আদালত

এই ইস্যুতে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছে আদালত। সংবিধানে আস্থা রাখার কথা বলেছেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘সংবিধানে মানুষের আস্থা রাখা উচিৎ। কিছু লোক এই ইস্যুতে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু, রাস্তায় নামা, বিক্ষোভ দেখানো, স্লোগান দেওয়া ঠিক নয়, পড়ুয়াদের ওপর হামলা চালানো বা অন্য কারও ওপর পড়ুয়াদের হামলা চালানো উচিৎ নয়।’

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

Next Article