নয়া দিল্লি: বাড়ির অমতেই আফতাবের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিলেন শ্রদ্ধা, দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু দিনের পর দিন বচসা থেকেই তৈরি হয় সম্পর্কে তিক্ততা। প্রায়সময়ই ঝগড়াঝাটি লেগে থাকত তাঁদের মধ্যে, এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন আফতাব নিজেও। কিন্তু বিয়ের জন্য জোরাজুরি নয়, যেদিন শ্রদ্ধাকে খুন করেন আফতাব, সেদিন তাঁদের মধ্যে বচসা হয়েছিল সম্পূর্ণ অন্য বিষয়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ মে দিল্লির মেহরৌলির বাসিন্দা আফতাব ও শ্রদ্ধার মধ্য়ে বাড়ির যাবতীয় খরচ কে বহন করবে, তা নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়।
মুম্বইয়ের ভাসাইয়ে শ্রদ্ধার পরিবারের তরফে নিখোঁজ অভিযোগ জানানোর পরই তদন্তে নামে পুলিশ। শ্রদ্ধার বন্ধু ও তাদের আগের ভাড়া বাড়ির মালিকও জানিয়েছিলেন, প্রায়সময়ই শ্রদ্ধা ও আফতাবের মধ্যে ঝগড়া হত। দুইজনেরই সন্দেহ ছিল একে অপরকে ঠকাচ্ছে। মূলত সেই বিষয় নিয়েই তাদের মধ্য়ে ঝগড়া হত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ মে বাড়ির কিছু সামগ্রী কেনার জন্য ঝগড়া হয় শ্রদ্ধা ও আফতাবের মধ্যে। সেই ঝগড়ায় এক কথা থেকে আরেক কথা ওঠে, তুমুল ঝগড়া শুরু হয়। রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে তাদের ঝগড়া হয়, সেই সময়ই রাগের বশে শ্রদ্ধার বুকের উপরে বসে, গলা টিপে খুন করে আফতাব।
জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধা ও আফতাব, দুইজনই কল সেন্টারে কাজ করত। বাম্বল অ্যাপ থেকে আলাপ, প্রেমের পর প্রথমে তারা মুম্বইয়ে লিভ-ইনে থাকতে শুরু করে। পরে চলতি বছরেই দিল্লিতে চলে আসে তারা। মে মাসে প্রথমে এক সপ্তাহ হোটেলে থাকার পর গত ১৪ মে মেহোরৈলির বাড়ি ভাড়া নেয় তারা। এর চারদিন পর, ১৮ মে শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব।