Shraddha Walkar Murder Case: শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করার কথা স্বীকার করে আদালতে কী জানাল আফতাব?

TV9 Bangla Digital | Edited By: অঙ্কিতা পাল

Nov 22, 2022 | 2:17 PM

Shraddha Walkar Murder Case: মেহরৌলির জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের খুলি, হাঁটুর অংশ, কাটা কব্জি আদৌ শ্রদ্ধার কিনা তা প্রমাণ করতে ফরেন্সিক আধিকারিকেরা ডিএনএ পরীক্ষার সাহায্য নিচ্ছেন। শ্রদ্ধার বাবার ডিএনএ নমুনার সঙ্গে সেগুলির ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে।

Shraddha Walkar Murder Case: শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করার কথা স্বীকার করে আদালতে কী জানাল আফতাব?
আফতাব আমিন পুনাওয়ালা।

Follow Us

নয়া দিল্লি: গার্লফ্রেন্ডকে খুন করার কথা আগেই স্বীকার করেছিল দিল্লি নৃশংস হত্যাকাণ্ডে (Delhi Murder Case) অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। এবার আদালতে সেকথা স্বীকার করে শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করার কারণ জানাল আফতাব। তার কথায়, “মাথা গরম ছিল। রাগের মাথায় খুন করে ফেলেছি।” একইসঙ্গে আফতাবের দাবি, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা “সম্পূর্ণ সত্যি নয়”।

এদিন আফতাবের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদও বেড়েছে। এদিন আফতাবের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়। তাকে আরও ৪ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। যদিও আফতাবের হয়ে সওয়াল করে তার আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, আফতাব সমস্ত সঠিক তথ্য পুলিশকে দিচ্ছে। সে মিথ্যা বলেনি এবং পুলিশকে বিপথে চালনা করেনি। যদিও আইনজীবীর একথার পরেও আফতাবকে আরও ৪ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারপতি। আফতাবের পলিগ্রাফি পরীক্ষার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে, শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে আদালত। দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সুব্রহ্মনিয়াম প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, দিল্লি পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে এবং অভিযুক্ত এখনও পর্যন্ত পুলিশকে সব সঠিক তথ্য দিয়েছে। দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক এদিন আদালতে জানান, তদন্ত প্রক্রিয়া ৮০ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এদিকে, মেহরৌলির জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের খুলি, হাঁটুর অংশ, কাটা কব্জি আদৌ শ্রদ্ধার কিনা তা এখনও প্রমাণিত হয়নি। সেটা প্রমাণ করতে ফরেন্সিক আধিকারিকেরা ডিএনএ পরীক্ষার সাহায্য নিচ্ছেন। শ্রদ্ধার বাবার ডিএনএ নমুনার সঙ্গে সেগুলির ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে বলে ফরেন্সিরক আধিকারিকেরা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা শ্রদ্ধা ওয়াকার ও আফতাব আমিন পুনাওয়ালা দীর্ঘদিন দিল্লির ছত্তরপুরে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকত। পরিবারের অমতেই আফতাবের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন শ্রদ্ধা। তারপর গত ১৮ মে আফতাব নিজে শ্রদ্ধাকে হত্যা করে তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে প্রায় ছয় মাস পর। পুলিশি জেরায় আফতাব জানিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুন করার পর তাঁর দেহের টুকরোগুলি সে দীর্ঘদিন ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রেখেছিল। পরে সেগুলি মেহরৌলির জঙ্গলে ফেলে দেয়।

 

 

Next Article