রেকটামে রক্তপাত, মিউকরমাইকোসিসের পর করোনা আক্রান্তদের শরীরে হাজির নতুন সংক্রমণ

Jun 29, 2021 | 6:59 PM

Cytomegalo: দিল্লির হাসপাতালে পাঁচ করোনা আক্রান্তের শরীরে নতুন এই সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। একজনের অস্ত্রোপচারও করতে হয়েছে।

রেকটামে রক্তপাত, মিউকরমাইকোসিসের পর করোনা আক্রান্তদের শরীরে হাজির নতুন সংক্রমণ
ফাইল চিত্র

Follow Us

নয়া দিল্লি: করোনার সূত্র ধরে মানব শরীরে বাসা বাঁধছে একের পর এক সংক্রমণ। মিউকরমাইকোসিসে ইতিমধ্যেই প্রাণহানি হয়েছে অনেকের। এ বার সে ভাবেই করোনা আক্রান্তদের শরীরে বিস্তার ঘটাচ্ছে অন্য একটি ভাইরাস। সাইটোমেগালো নামে ওই ভাইরাস সংক্রমণ ছড়ায় মূলত বৃহদন্ত্রে। আর তার জেরেই রেকটাম বা মলদ্বার থেকে রক্তপাত হয়। দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে এই ভাইরাসে আক্রান্ত পাঁচ রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ চলাকালীন অনেক আক্রান্তের শরীরেই এই ভাইরাসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

মঙ্গলবার হাসপাতালের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে ওই পাঁচ আক্রান্তের কথা জানানো হয়েছে। গঙ্গা রাম হাসপাতালের ‘ইনস্টিটিউট অফ গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি’র চেয়ারম্যান ড. অনিল অরোরা জানিয়েছেন, এই পাঁচজনের ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ২০ থেকে ৩০ দিন পর সাইটোমেগালো সংক্রমণ ধরা পড়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন ওই সব রোগীর করোনা আ্ক্রান্ত হওয়ার আগে এই ধরনের কোনও সংক্রমণ ছিল না।

হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে করোনা আক্রান্ত হলে চিকিৎসার জন্য যে ধরনের ওষুধ দেওয়া হয়, তার জেরেই মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তাই অনেক অচেনা ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। সাইটোমেগালোও এরকমই এক সুযোগ সন্ধানী ভাইরাস। চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, এই ভাইরাস দেশে ৮০ শতাংশ মানুষের মধ্যেই কম-বেশী রয়েছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এর তেমন কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। উপসর্গ তখনই দেখা যায় যখন ওই ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসে।

আরও পড়ুন: জম্মু বিস্ফোরণের দু’দিন পরই শাহ, দোভালের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসলেন মোদী

জানা গিয়েছে গঙ্গা রাম হাসপাতালের ওই পাঁচজন সংক্রামিতের মধ্যে একজনের উপসর্গ ছিল পেটে ব্যাথা ও বাকিদের রক্তপাত। মলের সঙ্গে রক্তপাত হচ্ছিল। চার জনের মধ্যে দু’জনের রক্তপাতের মাত্রা ছিল বেশি। তাঁদের মধ্যে একজনের অস্ত্রোপচার করে কোলনের একটা অংশ বাদও দিতে হয়। পাঁচজনের মধ্যে একজনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মৃত্যুও হয়, যদিও তাঁর ফুসফুসের সংক্রমণও বেড়ে গিয়েছিল বিপজ্জনক হারে। বাকি তিনজনকে ওষুধ দিয়েই সারিয়ে তোলা হয়েছে।

Next Article