বিয়ের পর বদলেছে ঠিকানা, বদলেছে ভোটার কার্ডও! SIR-এ কী অসুবিধায় পড়তে হবে এই মহিলাদের?
SIR, West Bengal Election: এই সবের মধ্যে একটা চিন্তা থেকেই যাচ্ছে রাজ্যের বিবাহিত মহিলাদের। বিয়ের পর বদলেছে ঠিকানা। অনেকেরই বদলেছে ভোটকেন্দ্র থেকে বিধানসভা। বদলে গিয়েছে ভোটার কার্ডও। এসআইআরে কী অসুবিধায় পড়তে হতে পারে তাঁদের?

সামনের বছরই ভোট হতে চলেছে বঙ্গে। আর তার আগে রাজনীতির পারদ চড়ছে বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন বা এসআইআরকে ঘিরে। এসআইআর ঘোষণা হওয়ার পরই ‘স্বচ্ছতার সঙ্গে এসআইআর করতে হবে’ বলেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। অন্যদিকে, এসআইআর প্রসঙ্গে দেশের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জ্ঞানেশ কুমারকে হুঁশিয়ারি তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু এই সবের মধ্যে একটা চিন্তা থেকেই যাচ্ছে রাজ্যের বিবাহিত মহিলাদের। বিয়ের পর বদলেছে ঠিকানা। অনেকেরই বদলেছে ভোটকেন্দ্র থেকে বিধানসভা। বদলে গিয়েছে ভোটার কার্ডও। এসআইআরে কী অসুবিধায় পড়তে হতে পারে তাঁদের?
কার্ডের জায়গা বদলালে কী কী সমস্যা?
ধরা যাক কোনও মহিলার বিয়ের পর বদলে গিয়েছে জেলা। তাহলে একই সঙ্গে বদলেছে লোকসভা, বিধানসভা এবং বুথও। তাহলে কী হবে? এমন ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি সম্ভাবনা তৈরি হয়। যাঁরা বিয়ের পর নিজের ভোটার কার্ড পুরনো এলাকা থেকে বর্তমান ভোটকেন্দ্রে ট্রান্সফার করিয়ে নিয়েছিলেন। অনেকের আবার ট্রান্সফারের পর ভোটার কার্ডের নম্বর বা এপিক নম্বর বদলে গিয়েছে। এ ছাড়াও অনেকে রয়েছে, যাঁদের নতুন করে ভোটার কার্ড তোইরি হয়েছিল। কিন্তু পুরনো কার্ডটিকে ক্যানসেল হয়নি।
যদি ট্রান্সফার করা হয়
কমিশন জানিয়েছে, যদি কার্ড ট্রান্সফার করানো হয়ে থাকে তাহলে পুরনো ভোটকেন্দ্রে ওই মহিলার বাবার সঙ্গে তাঁর কার্ডের লিঙ্ক খুঁজবে কমিশন। তারপর ইন্টারনাল লিঙ্ক দিয়ে কমিশন ঠিক খুঁজে নেবে ওই মহিলা বর্তমানে কোথায় রয়েছেন। অর্থাৎ, যাঁর কার্ড ট্রান্সফার হয়েছে তাঁকে আর কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না। এই ক্ষেত্রে এনুমারেশন ফর্মেই পুরনো ভোটকেন্দ্রের সব তথ্য লেখা থাকবে। আবার অনেক ক্ষেত্রে ভোটার কার্ডের নম্বর বদলে গিয়েছে অনেকের, সেই ক্ষেত্রে কমিশন ম্যাপিং ও ম্যাচিংয়ের সময় ওই ভোটারের পুরনো কার্ড চিহ্নিত করতে না পারলে সমস্যার কিছু নেই। ভোটারকে নিজেকেই জানাতে হবে তিনি আগে কোথায় থাকতেন ও তাঁর ঠিকানা ও পদবি বদল হয়েছে। এই ক্ষেত্রে এনুমারেশন ফর্মেই পুরনো ভোটকেন্দ্রের কিছুই লেখা থাকবে না। সেগুলো বিএলওরা ফিলআপ করে দেবে।
যদি নতুন করে কার্ড তৈরি হয়
এবার পড়ে রইল তাঁরা, যাঁদের আগের ভোটার কার্ড ক্যানসেল হয়নি, তার আগেই নতুন কার্ড হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় কী করণীয়? এই ক্ষেত্রে বিএলও দুই জায়গাতেই যাবে। ভোটারকে জানাতে হবে তিনি কোন এলাকায় থাকতে চান। তিনি যে এলাকায় থাকতে চান, তাঁর সেই ভোটার কার্ড থাকবে আর অন্য কার্ডটি বাতিল হয়ে যাবে। এই ক্ষেত্রে কমিশন যদি মনে করে, ওই মহিলাকে হিয়ারিংয়ের জন্য ডাকতেও পারে। সেই ক্ষেত্রে কমিশন জানতে চাইবে যে এমন কেন করা হয়েছিল।
তাহলে আপনার যদি বুথ, বিধানসভা বা লোকসভা বদলে গিয়ে থাকে তাহলেও চিন্তার কোনও কারণ নেই। বিএলওরা আপনার সব সমস্যার সমাধান করে ফেলবে।
