Rohingya In Delhi: রোহিঙ্গাদের ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’ রাখার নির্দেশ, মন্ত্রীর ফ্ল্যাট দেওয়ার ঘোষণা নস্যাৎ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

Ministry of Home Affairs: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী রোহিঙ্গাদের জন্য ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে বুধবার টুইট করে জানিয়েছিলেন। টুইটের সেই ঘোষণাকে নস্যাৎ করেছ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

Rohingya In Delhi: রোহিঙ্গাদের ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’ রাখার নির্দেশ, মন্ত্রীর ফ্ল্যাট দেওয়ার ঘোষণা নস্যাৎ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
ভারতে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2022 | 5:06 PM

নয়াদিল্লি: মায়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের থাকার জন্য নয়াদিল্লিতে কোনও ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার টুইট করে এ কথা জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই টুইটে রোহিঙ্গাদের ‘অবৈধ বিদেশি অনুপ্রবেশকারী’ বলা হয়েছে। পাশাপাশি দিল্লিতে যেখানে এখন রোহিঙ্গারা থাকছেন, সেই জায়গায় ডিটেনশন ক্যাম্প বানানোরও নির্দেশ দিল্লি সরকারকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী রোহিঙ্গাদের জন্য ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে বুধবার টুইট করে জানিয়েছিলেন। টুইটের সেই ঘোষণাকে নস্যাৎ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই মর্মে কোনও নির্দেশ দেয়নি বলেও জানিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক।

বুধবার করা একটি টুইটে হরদীপ সিং পুরী লিখেছেন, “ভারতে এসে যে শরণার্থীরা আশ্রয় চান, ভারত তাঁদের স্বাগত জানায়। শরণার্থীদের নিয়ে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিল্লির বক্করওয়ালা এলাকায় EWS ফ্ল্যাটে স্থানান্তরিত করা হবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের। সেখানে বসবাসের মৌলিক সব সুবিধা থাকবে। পাশাপাশি দিল্লি পুলিশ তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করবে।” দিল্লির প্রান্তে তাঁবু খাটিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০ জন রোহিঙ্গা রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই খবর সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র।

বিষয়টি নিয়ে তিনটি টুইট করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই টুইটে লেখা হয়েছে, “অবৈধ বিদেশি রোহিঙ্গাদের থাকার ব্যবস্থা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। স্পষ্ট করে জানানো হচ্ছে, নয়াদিল্লির বক্করওয়ালা এলাকায় EWS ফ্ল্য়াট অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কোনও নির্দেশ দেয়নি।”

এর পরের টুইটে লেখা হয়েছে, “দিল্লি সরকার রোহিঙ্গাদের নতুন স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বর্তমান স্থানেই  অবৈধ বিদেশি রোহিঙ্গাদের রাখতে বলেছে। বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে তাঁদের সংশ্লিষ্ট দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক উদ্যোগ নিচ্ছে।” টুইটে আরও লেখা হয়েছে, “প্রত্যাবর্তন আইন অনুযায়ী অবৈধ বিদেশিদের ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখতে হবে। রোহিঙ্গাদের থাকার বর্তমান জায়গাকে ডিটেনশন ক্যাম্প ঘোষণা করেনি দিল্লি সরকার। সেই কাজ এখনই করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হল।”

রোহিঙ্গাদের থাকার ব্যবস্থার খবর ছড়িয়ে পড়তেই কড়া বিবৃতি দেয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। রোহিঙ্গাদের দেশে রাখার বদলে তাড়ানোর ব্যবস্থা করা উচিত বলে দাবি তোলে তারা। এর পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই ঘোষণা করল।

প্রসঙ্গত মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিরোধিতা এর আগেই করেছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। কিন্তু সেখান থেকে আসা প্রায় ১ হাজার ১০০ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয় দিল্লিতে। সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১৭ হাজার রোহিঙ্গা ছড়িয়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মায়ানমার থেকে আসা প্রায় লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।