Prashant Kishor: ‘সবটা লাগিয়ে দেব…’, ভোটে হেরে এবার চাঁদা তুলতে নেমেছেন পিকে!
Prashant Kishor Urge For 1 Thousand Rs Donation: কিন্তু যাঁরা এই ‘সামান্য’ দানটা করতে পারবেন না, তাঁদের মুখ অবধি দেখবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন পিকে। তাঁর কথায়, ‘পরামর্শ দেওয়ার সময় শেষ, এবার সংঘর্ষের পালা। বিহারে মোট ১৩ কোটি মানুষ রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১ কোটি মানুষও যদি ১ হাজার টাকা দান করেন, এই যাত্রা পাঁচ বছর পর্যন্ত চালাব।

পটনা: হেরেছেন কিন্তু পিছু হটেননি। ফলাফল প্রকাশের কয়েকদিন পর ঠিক এই সুরের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। নিজেকে এই লড়াইয়ে আরও নিমজ্জিত করবেন বলেই বার্তা দিয়েছিলেন প্রাক্তন ভোটকুশলী। এরপর চুপ। বৃহস্পতিবার গোটা দিন ‘মুখ বন্ধ’ করেই কাটিয়েছেন পিকে। সেই মৌনতা যে আসলেই নতুন সমীকরণ তৈরির জন্য ছিল তা এখন স্পষ্ট।
পদযাত্রার পর শুক্রবার আরও একটি নতুন যাত্রার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন জন সুরাজ পার্টির সুপ্রিমো। এই নতুন উদ্যোগের নাম ‘বিহার নবনির্মাণ সংকল্প যাত্রা’। আগামী বছরের গোড়ার দিক থেকেই এই যাত্রা শুরু করবেন পিকে। যার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দিয়েছেন তিনি। প্রশান্ত কিশোরের কথায়, ‘আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে আমরা বিহারের প্রতিটি বাড়িতে যাব। মানুষের মনে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। ১৫ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত এই কাজ চলবে। সরকার কীভাবে তাঁদের ভুল বুঝিয়ে রেখেছে সেটাই বোঝানো হবে।’
এই সচেতনতা তৈরির কাজে যদি অর্থ শেষ হয়ে যায়, তাতেও কোনও অসুবিধা নেই পিকের। তিনি জানিয়েছেন, ‘গত ২০ বছরে আমি যা উপার্জন করেছি, আমি সবটা লাগিয়ে দেব। নিজের দিল্লির বাড়িটা বাদে আমি সব বিক্রি করে দিতে রাজি আছি। বিহারের মানুষের কাছে আমার একটা আবেদন রয়েছে। যাঁরা আমাদের কাজকে সমর্থন করেন, তাঁদের বলব, বছরে ন্যূনতম ১ হাজার টাকা করে দান করুন।’
কিন্তু যাঁরা এই ‘সামান্য’ দানটা করতে পারবেন না, তাঁদের মুখ অবধি দেখবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন পিকে। তাঁর কথায়, ‘পরামর্শ দেওয়ার সময় শেষ, এবার সংঘর্ষের পালা। বিহারে মোট ১৩ কোটি মানুষ রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১ কোটি মানুষও যদি ১ হাজার টাকা দান করেন, এই যাত্রা পাঁচ বছর পর্যন্ত চালাব। আমার সঙ্গে বহু মানুষ দেখা করতে আসেন। তাঁদের বলেদি, আপনি যদি বছরে এই টাকাটা পার্টিতে দান না করেন তাহলে আপনাদের সঙ্গেও আমি দেখা করব না।’
