আহমেদাবাদ: সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে নারী-পুরুষের মধ্যে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কথা হওয়া কোনওভাবেই অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সেই ম্যাসেঞ্জারকে হাতিয়ার করে এমন ফাঁদ পাতা হবে, তা কোনওভাবেই আন্দাজ করতে পারেননি আহমেদাবাদের যুবক। প্রতারকদের পাতা এই ফাঁদে পা দিয়ে শারীরিক হেনস্থার পাশপাশি তাঁর ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা খোয়া গিয়েছে। বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ৩০ বছর বয়সী ওই যুবক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকে আহমেদাবাদের আসারওয়াতে একটি দোকান রয়েছে।
কয়েকদিন আগেই কবিতা নামের এক বিবাহিত মহিলা ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ওই যুবককে মেসেজ করেছিল। কথা বলতে বলতে তাদের মধ্য বন্ধুত্ব হয়। পরবর্তীকালে ইনস্টাগ্র্যাম ও হোয়াটসঅ্যাপেও তাদের মধ্যে কথা শুরু হয়েছিল। বন্ধুত্ব থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। প্রিয় মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে একদিন প্রেমিকার বাড়ি গিয়ে কিছুক্ষণ সময়ও কাটিয়ে এসেছিলেন ওই যুবক। এই অবধি সব ঠিকই ছিল, এরপরেই ঘটে যায় বিপত্তি।
হঠাৎ করে একদিন প্রেমিকা তাঁকে মেসেজ করে জানায় তাঁর স্বামী ব্যবসায়িক কাজে সুরাট গিয়েছেন, তিনি চাইলে বাড়িতে আসতে পারেন। ওই যুবক বাড়িতে যেতেই ঘরের দরজা বন্ধ করে নগ্ন হয়ে ওই যুবকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন ওই মহিলা। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ঘরে ২ জন লোক ঢুকে পড়ে এবং যুবককে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়। তাদের মধ্যে একজন নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিয়ে যুবকের কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। এমনকী তাঁকে ধর্ষণের মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।
পুলিশকে যুবক জানিয়েছেন, সেই সময় তিনি বুঝে গিয়েছিলেন, ওই মহিলাও গোটা ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাঁর কাছে অত টাকা নেই, স্পষ্টতই সে আততায়ীদের সেকথা জানিয়ে দিয়েছিলেন যুবক। পরে ধাপে ধাপে তাঁর কাছ থেকে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা আদায় করে তাঁকে সাময়িকভাবে সেখান থেকে মুক্তি দেওয়া হলে পরে মেসেজ করে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছিল। বাধ্য হয়ে চন্দ্রখেদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।