মুম্বই: নাগপুর থেকে টেক অফ করার সময়ই খুলে গিয়েছিল চাকা। বুঝতে পেরেছিলেন পাইলট। গন্তব্য হায়দরাবাদ হলেও সেখানে যাওয়ার চেষ্টাও তিনি আর করেননি। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিকে সোজা নিকটবর্তী মুম্বই বিমানবন্দরের দিকে ঘুরিয়ে দেন বিমান চালক। কিন্তু বিমানের চাকাই যে খুলে গিয়েছে। তা অবতরণ করবে কীভাবে?
এই দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়েই পুরো ঘটনা সম্পর্কে তিনি মুম্বই বিমানবন্দরের এটিসিকে জানান এবং ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের অনুমতি চান। সেই অনুমতি দিয়ে দিলেও চিন্তামুক্ত হতে পারেননি পাইলট। কেননা, চাকা ছাড়া বিমান অবতরণ করলে রানওয়েতে ঘর্ষণের জেরে বিমানে আগুন লাগা একপ্রকার অবশ্যম্ভাবী। তখন বিমান, যাত্রী বা পাইলট, কাউকেই বাঁচানো যাবে না। এই অবস্থায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয় এটিসি। ঠিক করা হয়, ফোম অর্থাৎ ফ্যানা দিয়ে ঢেকে ফেলা হবে পুরো রানওয়ে। এতে আগুন ধরার সম্ভাবনা থাকবে না বললেই চলে।
যেমন ভাবা তেমন কাজ। চটজলদি রানওয়ে ফোম দিয়ে ঢেকে দেন বিমানবন্দরের কর্মীরা। যে কোনও জরুরি পরিস্থিতির জন্য তৈরি রাখা হয় দমকল কর্মী এবং চিকিৎসকদের। বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা ৯ মিনিটে উৎকন্ঠাকে সঙ্গী করে কোনও মতে বিমানবন্দরে নামতে সক্ষম হয় ওই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন বিমানবন্দর কর্মীরা।
আরও পড়ুন: একদিনে ১১৭ জন! মৃত্যুর সর্বকালীন রেকর্ড রাজ্যে, আক্রান্ত প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার
সূত্রের খবর, বিমানটিতে দু’জন পাইলট, একজন রোগী, তাঁর পরিবারের এক সদস্য ও আরেক চিকিৎসক ছিলেন। সবাইকে অক্ষত এবং সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। যদিও এই ঘটনার জেরে মুম্বই বিমানবন্দরের অন্যান্য বিমান চলাচলে কোনও বিঘ্ন ঘটেনি। বিষয়টি নিয়ে টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীও।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত ১৬ জনের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, ঘোষণা মমতার